আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের হাজারো কৃষক রাজপথে। বিভিন্ন দাবি নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেছেন প্রায় ২০ হাজার কৃষক। গত সোমবার (১৩ মার্চ) নাসিক শহর থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি বুধবার সন্ধ্যায় পৌঁছেছে থানে জেলার কাসওয়া ঘাটে।
বিবিসির খবর বলছে, ইতোমধ্যেই এই মিছিলে প্রায় ২০ হাজার কৃষক যোগ দিয়েছেন। পদযাত্রাটি যত মুম্বাইয়ের দিকে এগোবে, ততই এতে কৃষকের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষকদের এই মিছিলটি সংগঠিত করছে সিপিআইএম দলের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা। এর আগে ২০১৮ সালেও এ রকমই একটি মিছিল মুম্বাইতে গিয়েছিল।
সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য সভাপতি উমেশ দেশমুখ বিবিসিকে বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবিগুলো খুব স্পষ্ট। এ বছর পেঁয়াজ চাষ করে উত্তর মহারাষ্ট্রের হাজার হাজার কৃষক বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কুইন্টাল (একশো কেজি) প্রতি মাত্র ৭০০ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে, যা উৎপাদন খরচের অর্ধেক। সরকার সর্বনিম্ন সংগ্রহ মূল্য ২ হাজার টাকা কুইন্টালপ্রতি নির্দিষ্ট করুক, যার মধ্যে অনুদান হিসাবে দেওয়া হোক ৫০০/৬০০ টাকা করে।
ফসলের ক্ষতি হলে বিমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ করা, বিদ্যুতের বিল আর কৃষি ঋণ মওকুফ করাসহ আরও কয়েকটি দাবি নিয়ে কৃষকরা এখন এগোচ্ছেন মুম্বাইয়ের দিকে। পদযাত্রায় যে শুধু পেঁয়াজ-চাষীরা যোগ দিয়েছেন তা নয়। সংগঠকরা বলছেন দুধ উৎপাদনকারী, সয়াবিন, তুলো আর ডাল-চাষীরাও যে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ছেন, সেগুলোরও সমাধান চান তারা।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ বছর কৃষকরা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। পাঞ্জাব থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের আলু-চাষী হোন, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ আর মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ-চাষী হোন বা ছত্তিশগড়ের আনাজ-চাষী– বহু জায়গাতেই ক্ষতির পরিমাণ কমাতে তারা ক্ষেতেই ফসল নষ্ট করে দিচ্ছেন।
মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষী কৃষ্ণ ডোংরে যেমন তার ক্ষেতের ১৫ হাজার কেজি পেঁয়াজ পুড়িয়ে ফেলেছেন, তেমনই ট্রাক্টর চালিয়ে তিন একর জমির পেঁয়াজ নষ্ট করে দিয়েছেন সেখানকারই আরেক পেঁয়াজ-চাষী রাজেন্দ্র বোঢ়গুঢ়ে।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে সরকার অবশ্য গত সপ্তাহ থেকেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। তারা জাতীয় কৃষি সমবায় ন্যাফেডের মাধ্যমে পেঁয়াজ কিনতে শুরু করেছে, যার ফলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা হলেও বেড়েছে। কিন্তু তা চাষীদের ক্ষতি এখনও পূরণ করার মতো অবস্থায় আসেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।