আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তান ও ভারত-চীনের মধ্যে যেভাবে উত্তেজনা বাড়ছে তাতে যেকোনো সময় সংঘাত শুরু হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে সেনাদের মধ্যে কঠোর জবাব দেয়ার মানসিকতা তৈরি হওয়ায় এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এক রিপোর্টে এমনটিই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বুধবার কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের হাতে রিপোর্টটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা দীর্ঘদিনের। ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে চীনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘাতের পর থেকে এ দুই দেশের মধ্যেও বেড়েছে উত্তেজনা। যার কারণে এই তিন দেশের সীমান্তে মাঝে মাঝেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।
তবে, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে ভারতীয় সেনাদের মধ্যে জবাব দেয়ার মানসিকতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে পাকিস্তান কোনো উস্কানি দিলে অস্ত্রের মাধ্যমে তার কঠোর জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনারা।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তরফ থেকে কংগ্রেসের আইনপ্রণেতাদের কাছে হস্তান্তর করা ওই রিপোর্টে ভারত-চীনকে উল্লেখ করে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে যেভাবে উত্তেজনা বাড়ছে তাতে যেকোনো সময় দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে পারে তারা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতবিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করার দীর্ঘ ইতিহাস আছে পাকিস্তানের। অন্যদিকে কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনাকর মনোভাব দ্বন্দ্বের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
অপরদিকে, লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের পর উত্তেজনা বাড়লেও ভারত-চীন দফায় দফায় আলোচনা করে তা সমাধানের চেষ্টা করেছে। এরপরও কমেনি উত্তেজনা। বার্ষিক এই প্রতিবেদনে আরো বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
১৮ মার্চ আন্তঃসীমান্ত তেল পাইপলাইন উদ্বোধন করবেন হাসিনা-মোদি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।