আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোববার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এতে বলা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া ১ লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগের প্রস্তাবের অর্ধেক এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। বাকি প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কিছু প্রস্তাব বাতিল বা প্রত্যাহার করা হয়েছে, আর কিছু প্রস্তাব নানা জটিলতায় ঝুলে আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাবকৃত এসব আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মূলত প্রস্তাবগুলো ভারতের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা এসব প্রস্তাব বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
২০২০ সালের এপ্রিলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল যে দেশটির সঙ্গে স্থল সীমান্ত আছে, এমন কোনো দেশ থেকে বিনিয়োগের প্রস্তাব এলে তার জন্য অনুমোদন নেয়া বাধ্যতামূলক। কোভিড-১৯-এর সময় বিপদগ্রস্ত দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশিদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়া ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ভারতের সঙ্গে যেসব দেশের স্থল সীমান্ত আছে, সেগুলো হলো: চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান। সিদ্ধান্ত অনুসারে, ভারতের যে কোনো খাতে এসব দেশের বিনিয়োগ প্রস্তাব এলে তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত সিংহভাগই প্রস্তাব এসেছে চীন থেকে। মূলত ইকুইটি বিনিয়োগ থেকে ভারত চীনের এফডিআই পেয়েছে ২৫০ কোটি ডলারের।
একই সময়ে ভারতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করেছে ৮০ হাজার ডলার। আর নেপাল, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান বিনিয়োগ করেছে যথাক্রমে ৪৫ লাখ ১০ হাজার ডলার, ৯০ লাখ ডলার ও ২৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
ভারতে বেশির ভাগ প্রস্তাব এসেছে ভারী যন্ত্রপাতি উৎপাদন, অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, বাণিজ্য, ই-কমার্স, হালকা প্রকৌশল ও বৈদ্যুতিক খাতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।