জুমবাংলা ডেস্ক : অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে গম মে মাসে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। কিন্তু দেখা গেলো, এরপর থেকে দেশটিতে গম ও যবজাত পণ্য অর্থাৎ আটা-ময়দা রপ্তানি রাতারাতি বেড়ে যায়। ফলে গম রপ্তানি নিষিদ্ধের সুফল পাচ্ছিল না ভারত সরকার। এ কারণে এবার বিদেশে আটা-ময়দা রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। তবে এসব পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকাসহ ভারত-বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে ভারতীয় সরকার আটা-ময়দা রপ্তানি বন্ধ করছে- এমন খবর প্রকাশিত হয়। তবে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) থেকে জারি করা বুধবারের (৬ জুলাই) ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার বলা রয়েছে, আটা রপ্তানির নীতি এখনো ‘মুক্ত’। শুধু এক্ষেত্রে গম রপ্তানি সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় প্যানেল থেকে অনুমতি নিতে হবে।
ডিজিএফটির বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আটা-ময়দা রপ্তানি সংক্রান্ত নতুন নীতি কার্যকর হচ্ছে আগামী ১২ জুলাই থেকে। তবে ৬ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত অথবা কাস্টমসের ছাড়পত্র পাওয়া চালানগুলো পাঠাতে কোনো বাধা নেই। ভারতের আটা-ময়দা রপ্তানি নিষিদ্ধের খবরটি ‘গুজব’
এর আগে, গত ১৩ মে হুট করে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হওয়া ওই নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক গম সরবরাহ ব্যবস্থার সংকট আরও তীব্র হয়। তবে বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিএফটি জানায়, ১৩ মে’র আগে গমের জন্য যেসব ঋণপপত্র (এলসি) ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলোর চালান পাঠানো যাবে। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ভারতের গম রপ্তানি বন্ধ হবে না।
পরে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনও নিশ্চিত করে, বাংলাদেশে ভারতের গম রপ্তানিতে কোনো বাধা নেই। পাশাপাশি, অন্য যেসব দেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারতীয় গম আমদানি করতে ইচ্ছুক, সেসব দেশের সরকারের অনুরোধ সাপেক্ষেও গম রপ্তানি চলবে।
এরপর কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই ১০ লাখ টন গম রপ্তানি করতে ভারতের কাছে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ সরকার। দ্য ইকোনমিক টাইমসের খবর অনুসারে, ভারত রপ্তানি নিষিদ্ধ করার আগেই এসব গমের জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলেছিলেন বাংলাদেশি আমদানিকারকরা। সম্প্রতি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানায় নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রতি বছর ৬৭ লাখ টন গম আমদানি করে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ১২ থেকে ১৩ লাখ টন গম সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সরকার। আর ৫০ লাখ টনের বেশি গম বেসরকারিভাবে আমদানি করা হয় ভারত থেকে। গত ২৫ মে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর গত ১৩ মের আগে ইস্যু হওয়া এলসিগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ, যেখানে ওই ১০ লাখ টন গম আমদানির কথা উল্লেখ ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।