আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে ফিউচার মার্কেটে আজ স্বর্ণের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। এতে স্বর্ণের দ্বিতীয় বৃহৎ ভোক্তার দেশটিতে চাহিদা কমেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ভারতের ফিউচার মার্কেটে শুক্রবার প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম ছিল ৫৬ হাজার ২৪৫ রুপি বা ৬৯১ ডলার ৪৫ সেন্ট। এর আগে ২০২০ সালের আগস্টে স্বর্ণের দাম ছিল ৫৬ হাজার ১৯১ রুপি।
এ নিয়ে টানা চার সপ্তাহ ধরে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। অব্যাহত দাম বৃদ্ধির কারণে স্বাভাবিকভাবেই স্বর্ণের চাহিদায় ভাটা পড়েছে। গত ডিসেম্বরে ভারতের স্বর্ণ আমদানি আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৭৯ শতাংশ কমেছে। যা দুই দশকের মধ্যে মাসভিত্তিক আমদানির হিসেবে সর্বনিম্ন।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্বর্ণের ব্যবহারকারী দেশ। মূল্যমান ধাতুটির চাহিদা যদি ভারতেই কমে যায়, তাহলে বিশ্ববাজারে মুনাফার পরিমাণেও তা প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতের বাজারে স্বর্ণ আমদানি কমে যাওয়ায় দেশটিতে যে বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা কিছুটা কমবে। এমনকি এটি ভারতীয় মুদ্রা রুপির মান নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করবে। এরই মধ্যে অনেক বিক্রেতা দাম বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে মজুদকৃত স্বর্ণ বিক্রি করতে শুরু করেছেন। সেটিও আমদানি চাহিদা কমার পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৯৫ টন স্বর্ণ আমদানি করেছিল ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে তা নেমে এসেছে ২০ টনে। মূল্যমানের দিক থেকে ডিসেম্বরে আমদানি হয়েছে ১১৮ কোটি ডলারের স্বর্ণ, যা আগের বছর ছিল ৪৭৩ কোটি ডলার। পুরো বছরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালে রফতানি হয়েছিল ১ হাজার ৬৮ টন স্বর্ণ। ২০২২ সালে তা নেমে এসেছে ৭০৬ টনে।
ভারতে বছরে মোট স্বর্ণের যে চাহিদা তার ৯০ শতাংশের বেশি পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। ২০২১ সালে ৫ হাজার ৫৮০ কোটি ডলারের স্বর্ণ আমদানি করেছিল ভারত। ২০২২ সালে আমদানি করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৬০ কোটি ডলারের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।