আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৯০০ জনের অধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হাতহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার করা হচ্ছে। ভারত স্বাধীনতার ৭৬ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বলে মনে করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
নিচে ভারতে অতীতের বড় ট্রেন দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হলো—
১৯৬৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুতে পাম্বান–ধানুস্কোদি যাত্রবাহী ট্রেন রামেশ্বরম ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়লে প্রাণ হারান ১২৬ জনের বেশি যাত্রী।
১৯৮১ সালের ৬ জুন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। সেতু পার হওয়ার সময় একটি ট্রেন বাগমতি নদীতে পড়ে যায়। ওই ঘটনায় ৭৫০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়।
১৯৯৫ সালের ২০ আগস্ট উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল অন্তত ৩০৫ জন।
১৯৯৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাঞ্জাবের খান্নায় ফ্রন্টিয়ার গোল্ডেন টেম্পল মেইলের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। পরবর্তীতে জম্মু তাওয়াই-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস গোল্ডেন টেম্পল মেইলকে ধাক্কা দিলে ২১২ জন নিহত হন।
১৯৯৯ সালের ২ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের গাইসালে অবধ আসাম এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা ব্রহ্মপুত্র মেইল ট্রেনে সজোরে ধাক্কা দিলে ২৮৫ জনের বেশি মানুষ নিহত ও ৩ শতাধিক মানুষ আহত হন। হতাহতদের বেশিরভাগই ছিলেন দেশটির সেনাবাহিনী, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বা সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) সদস্য।
২০০২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিহার রাজ্যের রফিগঞ্জের একটি নদীর সেতুর ওপর রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হলে ১৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। এই দুর্ঘটনা পেছনে সন্ত্রাসীদের নাশকতায় আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০১০ সালের ২৮ মে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে মুম্বাইগামী জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পণব্যাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪৮ যাত্রী নিহত হন।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের পুখরায়ানে ইন্দোর–রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হলে ১৫২ জন নিহত ও ২৬০ জন আহত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।