বিনোদন ডেস্ক : দেশে সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ১৭ অক্টোবর দেশটির প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রচলিত আইন সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয় না। সেই আইন তৈরির ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র দেশের সংসদের। তবে পাঁচ বিচারপতিই একমত হয়ে জানিয়েছেন, সমকামী সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি কমিটি গঠন করতে হবে।
তবে কেন্দ্র আগেই ওই কমিটি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল। এদিকে এই রায়ের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। ভারতীয় পোর্টাল ইন্ডিয়া টুডেকে তিনি বলেন, ‘বিয়ের রায়টি (সুপ্রিম কোর্ট কতৃক) খুবই হতাশাজনক। আমি ২০ বছর ধরে এলজিবিটি (লেসবিয়ান, গে, বায়সেক্সুয়াল অ্যান্ড ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটি) নিয়ে কাজ করছি।
আমি সবসময় একটি কথাই বলেছি, এলজিবিটি আলাদা করে কিছু চাইছে না। বরং ভারতের প্রতিটি নাগরিক যে অধিকার পায় তা তারা চাচ্ছেন।’
আইন প্রণেতাদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে সেলিনা জেটলি বলেন, ‘বিয়ের অধিকার, একটি পরিবারের অধিকার যে কোনো মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। তাই আমি আশা করছি, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে বিশেষ বিবাহ আইন সংসদে আপডেট করা হবে।
অভিনেত্রী আরও বলেছেন, ‘একটি ইতিবাচক দিক হলো, আদালত একটি বিবৃতি রেকর্ড করেছে যে বিশেষ দম্পতিদের এমন অধিকার এবং সুবিধাগুলি পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়া যেতে পারে যা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। আমি মনে করি এটি সঠিক একটি পদক্ষেপ। একদিনে বিষয়টি তৈরি হবে না, তবে হতেই হবে।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বিচারপতির মধ্যে ভারতের প্রধানবিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল সমকামী ইউনিয়নের স্বীকৃতির পক্ষে কথা বলেছেন। তারা সমকামী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষার জন্য একটি বৈষম্য বিরোধী আইনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও দুই বিচারক যুক্তি দিয়েছেন যে সমকামী দম্পতিদের সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত। তবে সমকামী দম্পতিদের সন্তান দত্তক নেওয়ার বিষয়ে পাঁচ বিচারপতি বেঞ্চের বাকী দুই জন ভিন্নমত দিয়েছেন। সমপ্রেমী বিবাহকে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ বিভিন্ন সমকামী দম্পতি এলজিবিটিকিউ আন্দোলনকারী এবং ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের দায়ের করা ২০টি পিটিশনের শুনানির পরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।