ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ ইন হয়ে আসা সখিনা বেগমকে জামিন দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় সখিনা বেগমকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। পরে দুপুর পৌনে ২টায় শুনানির জন্য তাকে তোলা হয় আদালতে।

আদালতে সখিনা বেগমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক।
পরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিকেলে অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই সুবীর কুমার ঘোষ বলেন, সখিনা বেগম যে বাসায় ছিলেন, ওই বাসার লোকদের জিম্মায় তাকে জামিন দিয়েছে আদালত।
সখিনা বেগমের পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানিকারী আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক বলেন, “মামলাটি জামিনযোগ্য ধারা। সখিনা বেগম ইচ্ছে করে এদেশে আসেননি। জোর করে তাকে পাঠানো হয়েছে। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।”
শুনানি নিয়ে আদালত সখিনা বেগমকে আশ্রয়দাতা ক্লান্তি আক্তার, তার মা মোছা. জাকিয়া ও খালা ময়না আক্তারের জিম্মায় জামিনের আদেশ দেয়।
পরে আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক বলেন, “আশা করছি, আগামীকাল সোমবারই কারামুক্ত হবেন সখিনা বেগম।”
এদিন শুনানিকালে সখিনা বেগমকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
তাকে আশ্রয়দাতা ক্লান্তি আক্তার বলেন, “এর আগে চার দফা জামিন শুনানিতে এসেছিলাম। কিন্তু জামিন হয়নি। আজ জামিন হয়েছে। খুব আনন্দ হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “যতদিন তিনি দেশে ফিরতে না পারবেন, আমাদের কাছেই থাকবেন। তিনিও দেশে ফিরতে চান। সরকারকে অনুরোধ করব, তাকে যেন দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেয়।”
সখিনা বেগমকে কয়েকমাস আগে ভারতের আসাম থেকে ধরে নিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনী—বিএএসএফ। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর শোরগোল পড়ে যায়। তবে এর আগেই তাকে হেফাজতে নেয় ভাষানটেক থানা পুলিশ।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সখিনাকে ভাষানটেক থানার টিনশেড টেকপাড়া গলির মাথায় পাওয়া যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেছেন।
আসামের নলবাড়ী জেলার বরকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সখিনার পরিবারের অভিযোগ, বিএসএফ তাকে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে।
কংক্রিট নির্ভর উন্নয়ন ঢাকাকে অনিরাপদ করেছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। কয়েক দফা জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর রোববার তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



