আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন দুই শতাধিক মানুষ। এখনও পরিচয় শনাক্ত হয়নি ১০১টি মরদেহের। এই মৃত্যুপুরী থেকে নিজ ছেলেকে খুঁজে বের করলেন এক বাবা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বাসিন্দা হেলারাম দাস যখন জানতে পারেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কথা, তখন তিনি সময় নষ্ট করেননি। হেলারাম সঙ্গে সঙ্গে ছেলে বিশ্বজিৎ দাসকে ফোন করেন। দুর্ঘটনায় আহত বিশ্বজিৎ ফোন ধরে কথা বলার পর হেলারাম অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে, নিজের জামাতাকে সঙ্গে নিয়ে বালাসোরে পৌঁছান। সেখানে প্রথমে বিশ্বজিৎকে খুঁজে পাননি হেলারাম।
তারপর হেলারাম একটি মর্গ থেকে ছেলেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে কটক মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা বিশ্বজিৎকে নিয়ে আশা ছেড়ে দেন।
পরে হেলারাম ছেলেকে নিয়ে সোজা কলকাতায় হাজির হয়ে, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে বিশ্বজিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোনো কারণে প্রথমে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। সেটি গিয়ে পড়ে পাশের লাইনে। সেই লাইন ধরে তখন আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেটি এসে ধাক্কা দেয় করমণ্ডলের লাইনচ্যুত কামরাগুলোকে। সেই ধাক্কায় করমণ্ডলের ইঞ্জিন তৃতীয় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ওপরে উঠে যায়।
দীর্ঘদিন মাস্কের কারণে হাসির অভ্যাস উধাও, জাপানে হাসির স্কুল চালু!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।