বিনোদন ডেস্ক : তেলেগু সুপারস্টার পবন কল্যাণ অভিনীত নতুন চলচ্চিত্র ‘হারি হারা ভেরা মাল্লু’ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে সিনেমাটির একটি প্রদর্শনী মুহূর্তেই রূপ নেয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে। ভারতীয় দর্শকদের কিছু অংশের উচ্ছৃঙ্খল ও অবিনীত আচরণের কারণে হলটি নোংরা হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করে দিতে।
ঘটনাটি ঘটে যুক্তরাজ্যের একটি জনপ্রিয় সিনেমা হলে। সিনেমা শুরুর পরপরই একদল ভারতীয় দর্শক রঙিন কাগজ ছড়িয়ে ওড়াতে শুরু করেন। ভারতে কিছু অঞ্চলে এ ধরনের ‘উৎসবমুখর উদযাপন সংস্কৃতি’ প্রচলিত থাকলেও বিদেশের সিনেমা হলে এই আচরণকে সম্পূর্ণ অনুচিত এবং অপ্রত্যাশিত হিসেবে দেখা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই হলের মেঝে, সিট, করিডোরসহ বিভিন্ন স্থান রঙিন কাগজে ভরে যায়, পরিবেশ হয়ে পড়ে অগোছালো ও অস্বাস্থ্যকর।
এই পরিস্থিতিতে হলের কর্মীরা দর্শকদের আচরণ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন। একজন কর্মীকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়— “এটা কেমন আচরণ? আপনারা সিনেমা দেখতে এসেছেন, কিন্তু এমন জিনিস ছড়িয়ে রেখে যাচ্ছেন? এটা তো কোনো সভ্য আচরণ নয়!”
এই ঘটনার জেরে দর্শক ও কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়, যার কিছু দৃশ্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
দর্শকদের অসহযোগিতা ও অন্যান্য দর্শকের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে, হল কর্তৃপক্ষ সিনেমা প্রদর্শন মাঝপথেই বন্ধ করে দেয়।
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নেটিজেনদের মধ্যে। অনেকেই বলেন, ভারতে এমন উদযাপন হয়তো গ্রহণযোগ্য, কিন্তু বিদেশে গিয়ে সেখানকার নিয়ম-কানুনের প্রতি সম্মান না দেখানো লজ্জাজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। তবে কেউ কেউ হল কর্তৃপক্ষের আচরণকেও অত্যধিক কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন।
‘হারি হারা ভেরা মাল্লু’ সিনেমাটি ২৪ জুলাই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে। মাত্র দুই দিনের মধ্যেই ছবিটি বিশ্বজুড়ে আয় করেছে প্রায় ৭৭ কোটি রুপি। সপ্তদশ শতকের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে এক বিদ্রোহীর সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে, যিনি সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
ছবিতে পবন কল্যাণ ছাড়াও অভিনয় করেছেন ববি দেওল, নিধি আগারওয়াল, নার্গিস ফাখরি, নোরা ফাতেহি এবং যিশু সেনগুপ্ত।
তবে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে সিনেমাটির আন্তর্জাতিক প্রচারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষকেরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।