স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ‘কথার লড়াই’ এখন অন্যতম এক আকর্ষণ। ভেন্যু বদলায়, টুর্নামেন্ট বদলায়, তবু প্রায়ই তর্কে জড়াতে দেখা যায় এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেটারদের। গতকাল কলম্বোতেও বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটারদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে।
ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বোর প্রেমাদাসায় গতকাল মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ ও ভারত ‘এ’ দল। বাংলাদেশের ইনিংসের ২৬তম ওভারের ঘটনা। যুবরাজ সিং দোদিয়ার করা ওভারের দ্বিতীয় বল লেগ সাইডে ঘোরাতে গিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। হাওয়ায় ভাসা অবস্থাতেই আপিল করেন যুবরাজ ও উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুড়েল।
এরপর স্লিপে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরেন নিকিন জোস। জোস ক্যাচ ধরার পর আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন। আউট ঘোষণার পর জোসের মুষ্টিবদ্ধ উদ্যাপন পছন্দ হয়নি সৌম্যর। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার তর্কে জড়ান ভারতীয় ফিল্ডারদের সঙ্গে। বল ব্যাটে লেগেছিল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল সৌম্যর। ঝগড়া থামাতে এগিয়ে আসতে হয় আম্পায়ারদের।
ফাইনালে উঠতে গতকাল বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২১২ রানের। উদ্বোধনী জুটিতেই নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম ৭০ রান যোগ করেছেন। এরপর ৯০ রানে শেষ ১০ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫১ রানে জিতে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছায় ভারত। কলম্বোর প্রেমাদাসার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে ভারত।
২০১৫ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের পর থেকেই মূলত ‘যুদ্ধংদেহী অবস্থা’ বাংলাদেশ ও ভারতের। মেলবোর্নে সেই ম্যাচে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ভারতের পক্ষে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকেরা।
এছাড়া ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন দাসের স্টাম্পিং আউট নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এরপর পচেফস্ট্রুমে ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ছড়িয়েছে আগুন। স্লেজিং তো ছিলই, ম্যাচ শেষে হাতাহাতি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটারদের মধ্যে। ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।