আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ল্যাব বা গবেষণাগারে তৈরি হীরার দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক ভারত। মূলত বাজারে একাধিক দেশের সরবরাহ সক্রিয় হওয়ায় প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে দেশটি। একই সঙ্গে এ ধরনের হীরার মূল্য নিম্নমুখী প্রবণতা ধরে রেখেছে।
এ বিষয়ে বিশ্লেষক সংস্থা কেয়ারএজ অ্যাডভাইজরির পরিচালক তানভি শাহ বলেন, ‘যদি ল্যাব-হীরার মূল্য কমতে থাকে, তবে এটি উৎপাদকদের লাভের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় শিল্পের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের হীরার দাম কমার মূল কারণ অতিরিক্ত সরবরাহের সঙ্গে চাহিদার অসামঞ্জস্যতা।’
বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম হীরার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে ক্যারেট প্রতি গড় মূল্য ছিল ১৯৮ ডলার ২২ সেন্ট। সেখানে আগের অর্থবছরে প্রতি ক্যারেট গড়ে ৩৫৫ ডলার ৫১ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। ল্যাবের হীরা রাসায়নিক ও বস্তুগতভাবে প্রাকৃতিক রত্ন পাথরের সঙ্গে অভিন্ন। কিন্তু এতে উৎপাদন দ্রুত করার জন্য প্রচণ্ড তাপ ও চাপ ব্যবহার করা হয় পরীক্ষাগারে।
কৃত্রিম হীরার জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। এর প্রধান কারণ প্রাকৃতিক হীরার চেয়ে এর মূল্য এক-দশমাংশেরও কম। খনির পরিবেশগত ও নৈতিক প্রভাব ঘিরেও উদ্বেগ রয়েছে। ভারত আগে থেকেই প্রাকৃতিক হীরা কাটা ও পলিশ করার জন্য পরিচিত, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কৃত্রিম হীরার উৎপাদন বেশ অগ্রসর হয়েছে। দেশটি বছরে ৩০ লাখেরও বেশি ল্যাব হীরা উৎপাদন করে, যা বৈশ্বিক উৎপাদনের ১৫ শতাংশ।
এ খাতে প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। ২০২২ সালে ভারতে তৈরি কৃত্রিম হীরার বাজারমূল্য ছিল ২৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, গত বছর তা ৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। খবর দ্য ন্যাশনাল ও ছবি রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।