আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে যেখানে কয়েকশ কিলোমিটার দূরত্বে ভাষা, পোশাক পরিবর্তিত হয়, সেখানে একটি জিনিসের মধ্যে মিল রয়েছে এবং তা হল আমাদের নেতাদের পোশাক। অর্থাৎ দেশের প্রতিটি রাজ্যে, প্রতিটি গ্রামে এবং প্রতিটি শহরে, যিনি নেতা হতে চান বা নেতা হিসাবে দেখাতে চান, তিনি একটি সাদা কুর্তা-পায়জামা পরেন।
কিন্তু এখন বড় প্রশ্ন হল এর শুরু কোথা থেকে। কে বলেছে ভারতীয় নেতারা শুধু সাদা পোশাক পরবেন। ভারতীয়রা তাদের পোশাকের মাধ্যমে জাতিসত্তার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। কিন্ত ভারতের যে কোনো রাজ্যের নেতাকে বেশিরভাগই সময়ই সাদা পোশাকে দেখতে পাবেন, কিন্তু কেন এমন হয়? জানলে অবাক হতে পারেন!
দ্য নিউজ মিনিটের একটি রিপোর্ট অনুসারে, একবার কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারু যখন একটি শিশু কল্যাণ সমিতি শিবিরে উপস্থিত ছিলেন, তখন সেখানকার এক শিশু তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল ‘কেন তিনি সর্বদা তার কাঁধে তিরঙ্গা শাল রাখেন’। এই বিষয়ে শশী থারুর উত্তর দেন যে সাদা পোশাক শোকের জন্য বলে তিনি এমন করেন।
এখন আসল প্রশ্ন হল যে, সাদা পোশাক যখন শোকের জন্য তাহলে ভারতের নেতারা সবসময় কেন সাদা পোশাক পরেন? এই প্রশ্নের উত্তর আছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মহাত্মা গান্ধী যখন স্বদেশীর স্লোগান দিয়েছিলেন, তখন মানুষ বিদেশি কাপড় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর গান্ধী জনগণকে চরখা থেকে তৈরি খাদি কাপড় পরতে উদ্বুদ্ধ করেন।
আটা মাখার সময় দিয়ে দিন এই জিনিসটি, রুটি হবে নরম তুলতুলে ও ফুলবে অনেক
আসলে গান্ধীজি এটাকে স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে দেখেছিলেন এবং খাদির তৈরি পোশাকের বেশিরভাগই ছিল সাদা রঙের। ধীরে ধীরে তা নেতাদের কাপড়ে পরিণত হয়। অন্যদিকে, আমরা যদি ঐতিহ্যগতভাবে দেখি, সাদা রং সত্য ও অহিংসার প্রতীক। এর পাশাপাশি সাদা রঙটি খুব আকর্ষণীয় ও সরলতা দেখা যায়। এই কারণেই ভারতের বেশিরভাগ নেতা সাদা পোশাক পরেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।