আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের দুটি শেয়ার বাজার বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) নির্বাচনের ধাক্কা কাটিয়ে তাদের স্বাভাবিক গতিতে ফিরে এসেছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে গতকাল (০৪ জুন) দেশটির শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। এটি ছিল চার বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ হারের পতন।
তবে আজ বুধবার (০৫ জুন) সেই ধাক্কা কাটিয়ে ৩ শতাংশেরও বেশি উত্থান নিয়ে লেনদেন শেষ করেছে দেশটির শেয়ারবাজারগুলো।
এদিন বিএসইর প্রধান সূচক এস&পি বিএসই সেনসেক্স ২ হাজার ৩০৩ পয়েন্ট বা ৩.২০ পয়েন্ট উত্থানে লেনদেন শেষ করেছে। লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান দাঁড়ায় ৭৪ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে।
দেশটির অন্য শেয়ারবাজার এনএসইর সূচক এনএসই নিফটি ৫০ এদিন ৩.৩৬ শতাংশ বা ৭৩৫.৮৫ পয়েন্ট উত্থান দিয়ে লেনদেন শেষ করেছে। লেনদেন শেষে সূচকটির অবস্থান ছিলো ২২ হাজার ৬২০ পয়েন্টে।
ভারতীয় স্টক মার্কেট পুরো নির্বাচনের সময় জুড়ে ভোট এবং পূর্বাভাসের চারপাশে আরবীয় ঘোড়ার মতো চলে। তবে গতকাল নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে অনিশ্চয়তার প্রভাবে বাজারগুলোতে ধাক্কা লেগেছে।
গতকাল বিএসই সেনসেক্স ৫.৭৪ শতাংশ বা ৪ হাজার ৩৮৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৭২ হাজার ৭৯ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করে। এবং ৫.৯৩ শতাংশ বা ১ হাজার ৩৭৯ পয়েন্ট পতনে লেনদেন শেষ করে এনএসই নিফটি ৫০। লেনদেন শেষে এই সূচকটির অবস্থান ছিলো ২১ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে।
সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল, যা শেষ হয় শনিবার (০১ জুন)। ভোট গণনা শেষে ফলাফল আসে গতকাল। তবে ভোট গণনার একদিন আগেই ভারতের শেয়ারবাজার চমক দেখায়। এদিন ৭৬ হাজার ৪৬৮ পয়েন্টের রেকর্ড উচ্চতায় উঠে সেনসেক্স। আর এজন্য আবারও নতুন করে আলোচনায় মোদির দল ক্ষমতাসীন বিজেপি।
তবে গতকাল নির্বাচনী সর্বশেষ ফলাফল আসতে থাকলে ক্ষমতাসীন বিজেপির জয় অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পরে। বিজেপির জোট এনডিএ উল্লেখযোগ্য কিছু আসন হারালে বিনিয়োগকারীদের মাঝে দেখা দেয় সংশয়। আর এর ফলেই বড় পতনের মুখে পরে ভারতের শেয়ারবাজার।
আগে থেকেই দেশটির নির্বাচন নিয়ে শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছিলো নানা আলোচনা। অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর মতে, মোদি আবার ক্ষমতায় আসলে অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকবে।
এরফলে শেয়ারবাজার থেকেও অধিক লাভ করা সম্ভব হবে। নির্বাচনকালীন দেশটির শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের এমন মনোভাবের প্রভাবই পড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।