জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারো ভারতীয় গম আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে দীর্ঘ ১১ দিন বন্ধ ছিল গম আমদানি।
অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ভারতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পুরনো এলসির বিপরীতে বন্ধ রয়েছে গম আমদানি। এছাড়া পুরনো এলসির বিপরীতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আশ্বাস সত্ত্বেও অনুমোদনসহ নানা জটিলতায় আটকে ছিল গম আমদানি।
এর আগে ১৪ মে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গম রফতানি নিষিদ্ধ করে ভারত। এসময় নিষেধাজ্ঞার পূর্বে ইস্যুকৃত এলসির বিপরীতে গম রফতানি করা হবে বলেও জানায় দেশটি। চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ গম উৎপাদক দেশ ভারত। ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে কৃষ্ণ সাগরীয় এলাকা দিয়ে গম রফতানি বন্ধ হওয়ার পর থেকে ক্রেতারা ভারতের গমের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
দীর্ঘদিন আমদানি বন্ধ থাকার ফলে গমবাহী ট্রাক আটকা পড়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন হিলির আমদানিকারকরা। এ পরিস্থিতিতে আটকে থাকা এসব গম দ্রুত সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ ৫ জুন চারটি ট্রাকে ১৪৮ টন গম আমদানি করা হয়েছিল। এরপর বন্দর দিয়ে গম আমদানি একেবারেই বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার বিকালের পর বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ৭৫ টন গম প্রবেশের ফলে বন্দর দিয়ে আবারো গম আমদানি শুরু হয়। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও আজ পুনরায় গম আমদানি শুরু হবে। গম আমদানি বন্ধের ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ কমে আসার পাশাপাশি বন্দরের দৈনিক আয়ও কমেছে। বিপাকে পড়েছেন বন্দরে কর্মরত শ্রমিকরাও।
অন্যদিকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও পাহাড়ি ঢলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গম আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে ব্যবসায়ীদের করা এলসির বিপরীতে কোনো গম বন্দরে প্রবেশ করছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা।
তিনি বলেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে গম রফতানিতে ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ১৪ হাজার টন গম আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে ত্রিপুরার সঙ্গে অন্য রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে গমবাহী ট্রাকগুলো ত্রিপুরায় আসতে পারছে না। আমরা আশা করছি চলতি মাসের শেষ দিকে এলসি করা বাকি গমগুলো আমদানি করা সম্ভব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।