শুক্রবার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনবিসি।
এতে বলা হয়, ভারতের ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও ডেস্কটপ কম্পিউটার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে অ্যাপল, স্যামসাংয়ের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক তরুণ পাঠক বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ দীপাবলি উৎসবের সময় পণ্যগুলোর দাম বাড়তে পারে। কারণ এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আমদানিরনির্ভর ইলেকট্রনিক পণ্যগুলোর সরবরাহে সংকট তৈরি হতে পারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বড় বড় ব্র্যান্ড।
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অ্যাপল ও স্যামসাং।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) এক প্রজ্ঞাপনে দেশটির সরকার জানিয়েছে, স্থানীয় উৎপাদকদের উৎসাহিত করতে অবিলম্বে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও ডেস্কটপ কম্পিউটার আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। তবে শুধু একটি বৈধ লাইসেন্স থাকলেই এই পণ্যগুলো আমদানির অনুমতি দেয়া হবে।
গত প্রান্তিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসে ১৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানি করেছে দেশটি, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।
এ বিষয়ে ইলেকট্রনিকস খাতের সংস্থা ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সাবেক মহাপরিচালক আলি আখতার জাফরি বলেন, দেশের স্থানীয় ইলেকট্রিকস পণ্য উৎপাদকদের উৎসাহিত করতেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্য হিন্দু জানিয়েছে, স্থানীয় প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে দুই ডজনের বেশি খাতে প্রণোদনা দিচ্ছে ভারত সরকার। বৈশ্বিক ইলেকট্রনিকস সরবরাহ ব্যবস্থার পাওয়ার হাউস হয়ে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষায় দেশটি এই প্রণোদনা প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। তারা ২০২৬ সালের মধ্যে বার্ষিক ৩০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ভারতের বাজারে ডেল, এসার, স্যামসাং, এলজি, প্যানাসনিক, অ্যাপল, লেনোভো ও এইচপির মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান ল্যাপটপ বিক্রি করে থাকে। যার বড় অংশই আমদানি হয় চীনসহ অন্যান্য দেশে থেকে।
ভারতের সরকারি তথ্য বলছে, বছরে মোট আমদানির প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশই হচ্ছে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও ডেস্কটপ কম্পিউটার, যার প্রায় অর্ধেকই আসে চীন থেকে।
এর আগে স্থানীয় মোবাইল ফোনের মতো পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে এর আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছিল সরকার। শিল্প সংস্থা ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, গত বছর দেশটিতে ৩৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মোবাইল ফোন উৎপাদন করা হয়েছিল। যেখানে মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলারের ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট উৎপাদিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।