আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাচীনকাল থেকে মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তবে কিছু মানুষ মনে করে শুধু তাদেরই পৃথিবীতে ভালো থাকার অধিকার রয়েছে, কিন্তু আসলে তা নয় অন্যান্য প্রাণীরাও প্রকৃতির জন্য মানুষের মতই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনই একটি উদাহরণ মেলে ভারতের একটি গ্রামে।
ভারতের এই গ্রামটিতে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীরা একসাথে থাকে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, আপনিও হয়তো বলবেন যে শহরে মানুষেরাও তো বাড়িতে পশুপাখি পোষে তাহলে এতে আশ্চর্যের কি আছে? আসলে এই গ্রামে কোন গৃহপালিত প্রাণী নয়, বন্যপ্রাণী, চিতাবাঘ মানুষের সঙ্গে বাস করে।
এখানে রাজস্থানের বেরা গ্রামের কথা বলা হয়েছে, যা উদয়পুর এবং যোধপুরের মধ্যে অবস্থিত। জানা গেছে, এখানকার উপজাতির লোকেরা হাজার হাজার বছর আগে বেলুচিস্তান থেকে এই গ্রামে এসে বসতি স্থাপন করেছিল। তারা ভগবান শিবের উপাসনা করে বলেই প্রাণীদেরও খুব ভালোবাসে। কারণ তাদের মতে, এই উপজাতি ভগবান শিবের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল।
গত কয়েক শতাব্দী ধরে চিতাবাঘ এই গ্রামে বসবাস শুরু করে এবং এই উপজাতির মানুষের মধ্যে সমন্বয় গড়ে ওঠে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে চিতাবাঘকে সবচেয়ে হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে গণ্য করা হয়, যারা মুহূর্তেই মানুষকে আক্রমণ করতে পারে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত চিতাবাঘেরা এখানকার কোন মানুষকে আক্রমণ করেনি।
দীর্ঘ দিন পর মালিকের সঙ্গে দেখা হলে আনন্দে কেঁদে ফেলে কুকুর : গবেষণা
এই গ্রামে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা চিতাবাঘকে দেখে ভয় পেলেও গ্রামবাসীরা তাদের নিজেদের মনে করে। তাদের প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই চিতাবাঘ তাদের গ্রামকে রক্ষা করছে। প্রসঙ্গত, রাজস্থানের এই সুন্দর গ্রামটি জঙ্গল সাফারির জন্য বিখ্যাত এবং আপনি সহজেই এখানে যেতে পারেন। বেরা নামক এই গ্রামটি আরাবল্লী পাহাড়ের মধ্যিখানে অবস্থিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।