আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমাদেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ দেশগুলোর সাধারণ মানুষও রাশিয়ার ওপর ক্ষুদ্ধ। কারণ রুশ সেনারা ইউক্রেনে চালাচ্ছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। কিন্তু এশিয়ার ও বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ জনগণ রাশিয়ার প্রতিই তাদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো রাশিয়ার বন্দনায় মুখর। রাশিয়া ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরও কেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার জেন্দেরাল আখমাদ ইয়ানি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের অধ্যাপক ইউহানেস সুলেইমান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইন্দোনেশিয়ার মানুষদের ক্ষোভ আছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করে না।
তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তারা বিদ্বেষ পোষণ করেন। কারণ ইন্দোনেশিয়ার মানুষের বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে যুদ্ধ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এসব কারণে ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেসব খবর প্রকাশ করে সেগুলো বিশ্বাস করে না ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর ইন্দোনেশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গল্প ঘুরপাক খাচ্ছে।
সে গল্পটি হলো একজন স্বামী ও স্ত্রীকে নিয়ে। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু এই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
পাঁচ সিইও’র বেতন ৮২০ কোটি ডলার!
বিচ্ছেদ হওয়ার পরও ওই স্বামী তিন সন্তানের ভরণ-পোষণ দিয়ে যাচ্ছিল।
কিন্তু হঠাৎ একজন ধনী ও বিত্তশালী পুরুষের পাল্লায় পড়েন সেই স্ত্রী। তিনি ধনী পুরুষটির কুমন্ত্রণা নিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া ওই স্বামীর ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।
এতে ওই স্বামী ক্ষুদ্ধ হয়ে তার তিন সন্তানের মধ্যে বড় সন্তানটিকে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে ওই স্ত্রী অর্থাৎ নারীকেই শাস্তি দেওয়ার জন্য তার অপর দুই সন্তান তার স্বামীর কাছে অনুরোধ করে।
এই গল্পে স্বামী হলো রাশিয়া। স্ত্রী হলো ইউক্রেন। ধনী পুরুষটি হলো যুক্তরাষ্ট্র। বড় সন্তান ক্রিমিয়া। আর অপর দুই সন্তান হলো লুহানেস্ক ও দোনেস্ক।
এই গল্পের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও ইউক্রেনকে অনেক সুবিধা দিয়েছে রাশিয়া। তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাশিয়ার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে তারা। ফলে ইউক্রেনের শাস্তি পাওয়া উচিত।
ইন্দোনেশিয়ার মানুষদের বিশ্বাস রাশিয়ার ক্ষতি করতে যুক্তরাষ্ট্রই এসব ঝামেলা বাঁধিয়েছে ও ইউক্রেন হাত মিলিয়েছে। ফলে তাদের শাস্তি ভোগ করা উচিত।
তবে ইন্দোনেশিয়ার সরকার রাশিয়ার পক্ষে যায়নি। তারা জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।