বিনোদন ডেস্ক : প্রকাশ্যে ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের টিজার। শুভশ্রীর এই সিনেমা নিয়ে কবে থেকেই দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। কল্লোল লাহিড়ির লেখা উপন্যাস ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ আসছে এবার হইচইতে। পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের হাত ধরে একেবারে ভোল বদলে ফেলেছেন রাজ-পত্নী।
১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের টিজারে দেখা যাচ্ছে শুভশ্রীকে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন, ত্বক কুঁচকে গিয়েছে। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। শুভশ্রীর গলায় শোনা যাচ্ছে, ‘এটা ইন্দুবালার ভাতের হোটেল। এই চ্যাটচেটে টেবিল আর স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে লোকে ইন্দুবালার হাতের খাবার খেতে আসে। হোটেলে আসে না বাবা।’ কিছুক্ষণ পরে দেখা যায়, ট্রেন থেকে নামছেন এক সদ্য বিবাহিত তরণী। তার কিছুক্ষণ পর দেখা যায় উনুনে আগুন দিয়ে মাছ রান্না করছে ইন্দুবালা। বৃষ্টির জল মুখে মেখে নিচ্ছে, ঠিক যেভাবে কিশোরীবেলায় করত।
টিজারে ব্যবহৃত হয়েছে ‘পাখিদের স্মৃতি কিছু রীতিনীতি ফণিমনসাও জানে/ বাগানের স্মৃতি নজরুল গীতি বালিকার কানেকানে/বিকেলের স্মৃতি গোপন পীড়িতি গোপনেই রাখা থাকে/ মানুষের স্মৃতি বহু বিস্মৃতি শ্মশান বন্ধু টানে’ গানটি। যেখানে ঝলকে উঠে এসেছে ইন্দুবালার জীবনের ফেলে আসা কথা।
ইন্দুবালার ২৫-৭৫ বয়সে অভিনয় করেছেন শুভশ্রী। এই সিরিজে অভিনেত্রী দুই সন্তানের বিধবা মা। পূর্ববঙ্গ থেকে এসে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হবেন। আর সংসার ও সন্তানপালনের জন্য খুলবেন ভাতের হোটেল। এই মহিলার জীবনসংগ্রামই ফুটে উঠবে ওয়েব সিরিজে। টিজারই বলে দিচ্ছ, ‘এই ইতিহাস দেশ ছাড়ার ইতিহাস, এই ইতিহাস স্বজন হারানোর ইতিহাস, এই ইতিহাস স্বাদের ইতিহাস।’
এর আগেও নিজেকে একাধিকবার ভেঙে গড়ে নিয়েছেন। তা সে পরীণিতা হোক বা বিসমিল্লা কিংবা ধর্মযুদ্ধ। এই সিরিজও অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের বিশেষ মাইলস্টোন হতে চলেছে বলেই আপাতত ধারণা করা যাচ্ছে।
হইচই-এর তরফে শেয়ার হওয়া এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে একজন লিখলেন, ‘এইরকম নতুন চরিত্রে অভিনয় করার চ্যালেঞ্জকে কুর্নিশ জানাই। শুধু একটাই রিকোয়েস্ট, বই পড়ে চরিত্রটার প্রতি যে ভালবাসা জন্মেছে, সেটা যেন নষ্ট না হয়।’ অপরজন মন্তব্য করেছেন, ‘গল্পটা পড়ে এতো ভালোলেগেছে অপেক্ষায় রইলাম দেখার।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।