বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রায় এক মাস হলো দেশের বাজারে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ। এই সময়ের মধ্যে রিভিউয়ার থেকে শুরু করে সাধারণ ব্যবহারকারীসহ সবাইকে মুগ্ধ করেছে এই সিরিজের ফোনগুলো। স্মার্টফোন সিরিজটির বাজারে সাড়া ফেলার পেছনে নিশ্চিতভাবে কিছু কারণ অবশ্যই আছে। যে তিনটি উল্লেখযোগ্য ফিচারের কারণে নোট ৩০ সিরিজ সারা দেশজুড়ে এতো প্রশংসিত হচ্ছে, সেগুলো তুলে ধরা হলো।
অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ: ফাস্ট চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক এক চার্জিং প্রযুক্তি অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ। দিনের বেলায়, কাজ বা বিনোদনের সময় অথবা রাতে নিরাপদ ফাস্ট চার্জিংয়ের জন্য যা যা প্রয়োজন, তার সবই আছে এতে। এই যেমন, বাইপাস চার্জিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনের সময় ফোনকে চার্জ দেওয়া যায় ল্যাপটপের মতো করে। ফলে নিরাপদ চার্জিংয়ের খাতিরে ব্যাটারি সরাসরি চার্জ নেয় না। বরং ফোন মাদারবোর্ডের মাধ্যমে শক্তি সংগ্রহ করে।
এই অল-রাউন্ড চার্জিং প্রযুক্তির আরেকটি দারুণ ফিচার হলো ওয়্যারড ও ওয়্যারলেস রিভার্স চার্জিং। ফলে এখন ফোন থেকেই ইয়ারপড, স্মার্টওয়াচ, এমনিক ফোনও চার্জ দেওয়া সম্ভব। ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে এমন যেকোনো ডিভাইসও চার্জ করা যাবে ফোন থেকেই। যেহেতু নোট ৩০ সিরিজের মধ্যে কেবল নোট ৩০ প্রো ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে, তাই ওয়্যারলেস রিভার্স চার্জিংও শুধু এই মডেলটিতেই পাওয়া যাবে।
ডিজাইন: কোনো ডিজাইনের প্রতি আকর্ষণ ব্যক্তিভেদে আলাদা হয়। একটি ডিজাইন সবসময় সবার পছন্দ নাও হতে পারে। আবার কখনো কখনো এমন হয় যে, কোনো ডিজাইনের একটি বিশেষ অংশ নজর কাড়তে পারে আলাদা করে। ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজের ডিজাইনও এমনভাবে করা হয়েছে, যেন সবারই তা পছন্দ হয়। পুরোটা না হলেও যেন এর কালার, ক্যামেরা, বেজেল ও অন্যান্য অংশের ডিজাইন আলাদাভাবে আকর্ষণ করে প্রত্যেককেই। সিরিজটির চমৎকার ব্যাক প্যানেলে আছে বর্ণিল উজ্জ্বল টেক্সচার, ইনফিনিক্সের লোগো এবং ট্রিপল-ল্যান্স ক্যামেরা সেটআপ।
ওয়্যারলেস চার্জিং: নোট ৩০ সিরিজের এই ফিচারটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে, কারণ এই দামের মধ্যে আর কোনো ফোনে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধাটি নেই। তার ওপর, ১৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং পডটি ক্রেতারা পাচ্ছেন বিনামূল্যে, যার বাজারদর প্রায় ২ হাজার টাকা। এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন কাজ সহজ ও স্টাইলিশ করে। এছাড়াও, দীর্ঘ সময় ধরে পাওয়ার ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য নোট ৩০ প্রো এবং নোট ৩০ উভয় ফোনেই আছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। ফোন দুটি যথাক্রমে ৬৮ ওয়াট ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জারের সাহায্যে দ্রুত চার্জ হয়। এতে অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এড়ানো যায়।
ইনফিনিক্স নোট ৩০ ফোনটিতে রয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের Mediatek MT8781 Helio G99 প্রসেসর।
শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ বেশ সাশ্রয়ী মূল্যেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সামগ্রিক ফিচার ও সক্ষমতার কারণে ফোনগুলো দামের তুলনায় বেশ শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। বাংলাদেশে নোট ৩০ প্রো-র মূল্য ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা। নোট ৩০ মডেলটির ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি + ২৫৬ জিবি’র দুটি ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ১৮ হাজার ৯৯৯ এবং ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।