জুমবাংলা ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি ভোটের সময় কড়া মুসলমান হয়ে যায়, ভোট চলে গেলে ইসলামের জন্য, আলেম-ওলামাদের জন্য কাজের কথা ভুলে যায়।’
তিনি বলেন, ‘এরশাদ সাহেব ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছেন, বেগম খালেদা জিয়া আলেম-ওলামাদের মাথায় হাত বুলিয়ে ভোট নিয়েছেন, কিন্তু ইসলামের খেদমতে তারা কাজ করেননি। শুধু ভোটের সময় যারা কড়া মুসলমান হয়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির ইফতার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ১৩ বছর আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার আগে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু ইসলামের খেদমতে অন্য কেউ এত কাজ করেনি। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ছিল শতবর্ষ পুরোনো। বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নানকে নিয়ে ক্ষমতায় ছিলেন। ভোটের সময় তারা ইসলামের কথা খুব বক্তৃতা করেছেন, কিন্তু কেউ সেই দাবি পূরণ করেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাই ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
‘একইভাবে কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এটি কেউ কল্পনা করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং স্বীকৃতি দিলেও চাকরি হবে না এমন মন্তব্যকারীদের বিস্মিত করে শুধু চাকরিই নয়, সরকারি চাকরি দিয়েছেন।’
দেশে প্রায় এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা, মক্তবপ্রতি শিক্ষককে মাসে পাঁচ হাজার দুইশত টাকা ভাতা দেওয়া, পাশাপাশি ২০ হাজার দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে ১২ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়া শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চালু করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বহু ইসলামী রাষ্ট্র আছে, কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সারাদেশে একসাথে প্রতি জেলা ও উপজেলায় ৬০০ মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এ মসজিদগুলো বাইরে থেকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, ভেতরে ঢুকলে মন জুড়িয়ে যায়। ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদে কোনো গম্বুজ ছিল না। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন এবং মাঝখানে বিএনপি ও তত্ত্বাবধায়ক কোনো সরকারই এই কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি। আবার ক্ষমতায় এসে পরম করুণাময়ের ইচ্ছায় শেখ হাসিনাই এটি সমাপ্ত করলেন।’
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ‘দুনিয়াতে হিসাবনিকাশ করে জীবন পরিচালনার মধ্যেই পরলোকের জীবনের শান্তি নিহিত।’
সাবেক এমপি আলহাজ্ব মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মো. মামুনুর রশীদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ড. মুফতি মাওলানা কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির মহাসচিব শাইখুল হাদিস মাওলানা মুফতি শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।