জুমবাংলা ডেস্ক : বিদেশ ঘুরতে গেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে। এ ছাড়া দেশের কারও বিদেশে সম্পদ থাকলে তা যদি কর কর্মকর্তারা প্রমাণসহ জানতে পারেন, তাহলে ওই সম্পদের বিপরীতে জরিমানার বিধান চালু হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে সোমবার (৫ জুন) এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, বিদেশে সম্পদ থাকলে আয়কর রিটার্নে তা উল্লেখ করতে হবে। যদি কেউ বিষয়টি উল্লেখ না করে এবং এনবিআর অনুসন্ধান চালিয়ে বের করে- তাহলে বড় ধরণের শাস্তির বিধান থাকছে নতুন আয়কর আইনে। এ জন্য নতুন আয়কর আইনে এমন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। শিগগিরই আইনটি পাসের জন্য জাতীয় সংসদের বিল আকারে উত্থাপন করা হবে।
জানা গেছে, নতুন আইনে বিদ্যমান তিন শর্তের সঙ্গে নতুন করে আরও তিনটি শর্ত যুক্ত হচ্ছে। সেগুলো হলো কোনো করবর্ষে কোনো করদাতা যদি চিকিৎসা বা হজসহ ধর্মীয় উদ্দেশ্যে বিদেশগমন ছাড়া অন্য কোনো কারণে ব্যক্তিগতভাবে বিদেশে যান, তাহলে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, কোনো করদাতা যদি কোনো এক করবর্ষে দেশের বাইরে সম্পদ কেনেন, তাহলেও তাকে সম্পদের বিবরণী দিতে হবে। তৃতীয়ত, কোনো কোম্পানির শেয়ারধারী পরিচালক হলেও সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে।
বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে আয়কর রিটার্ন জমার সময় বর্তমানে সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত হলো—১. অর্থবছরে মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা হলে; ২. একটি মোটরগাড়ির মালিক হলে; ৩. সিটি করপোরেশন এলাকায় গৃহ-সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টের মালিক হলে। এসব সম্পদে বিনিয়োগ করলেই বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সম্পদের রিটার্ন দিতে হয়।
কানাডার বেগম পাড়া, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমসহ যেসব জায়গায় বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে ধনসম্পদ করেছেন- তাদের জন্য নতুন এ আয়কর আইন দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে।
এতে বলা হয়েছে, কোনো করদাতা যদি তার রিটার্নে বিদেশে থাকা সম্পদ প্রদর্শন না করেন, আর সেই সম্পদের খোঁজ যদি কর কর্মকর্তারা পান এবং ওই সম্পদ অর্জনের উৎস ও অন্যান্য বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারেন তবে কর কর্মকর্তারা জরিমানা করতে পারবেন।
নতুন এ আইনের আওতায় কর কর্মকর্তা বিদেশে থাকা সম্পত্তির ন্যায্য বাজারমূল্যের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা ও আদায়ও করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।