জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে ছোট-বড় গবাদি পশুর খামার আছে ৩৫ হাজারের বেশি। কিন্তু নিবন্ধন করেছে মাত্র ১০ হাজার। ফলে বাণিজ্যিক খামারে তদারকি চালাতে বেগ পেতে হয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে। সম্প্রতি সাদিক এগ্রো কাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়ায় এখন পশু খামার নিবন্ধনে জোর দিচ্ছে সংস্থাটি। আর পুরো খাতকেই জবাবদিহির আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েক বছরে দেশে বেড়েছে গবাদি পশুর বাণিজ্যিক খামার। লাভজনক হওয়ায় বেশি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে গরু পালনে। কিন্তু খামারের নিবন্ধন নিয়ে কোনো তোড়জোড় নেই।
সম্প্রতি সাদিক এগ্রোর অনিয়ম ধরা পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এরই মধ্যে মোহাম্মদপুর থেকে উচ্ছেদ হয়েছে সাদিক এগ্রো। খামারটির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু পালন করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। সাদিক এগ্রো ছাড়াও আরও অনেক খামারেই এ জাতের গরু আছে। কিন্তু নিবন্ধন না থাকায় তদারকি করতে পারছে না অধিদপ্তর।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, ‘আমাদের একটি প্রকল্প ছিল, সেটার মূল্যায়ন হয়েছে। এটা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। পক্ষে বিপক্ষে কথা আছে। সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিলে অনেক কিছু বিবেচনা করেই নেয়। যেহেতু সিদ্ধান্ত এখনও ফাইনাল না, আপাতত ব্রিডিং পারপাসে এটা (ব্রাহমা) নিষেধ। একেবারে নিষিদ্ধ এ পশু দেশে পাওয়া গেলে মানে ওরকম কিছু না।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খামারগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি। তবে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে: মাও নিঙ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার বলেন, ‘পুরো বিষয়টাকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে রিভিউ করে কীভাবে এটাকে (ব্রাহমা) আসলে, যেহেতু এর চাহিদা আছে। আমাদের মাংস উৎপাদনও করতে হবে। একেবারে অপরিকল্পিতভাবে এখানে ওখানে না ছড়িয়ে যদি কন্ট্রোলড কিছু কমার্সিয়ালি এই জাতটা দেওয়া যেত, তাহলে মাংস উৎপাদনে আমরা ভালো করতে পারতাম বলে আমি মনে করি।’
ছোট খামারিদের নিবন্ধনের পাশাপাশি প্রণোদনা দেওয়ারও আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।