সাইফুল ইসলাম : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার দুই নেতার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের আহত যোদ্ধা মো. সাদিকুল ইসলাম রাব্বি।
এ ঘটনায় বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে এনসিপির কেন্দ্রীয় আহব্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার বরাবর ডাক ও ই-মেইলের মাধ্যমে এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগে রাব্বি উল্লেখ করেন, তিনি জুলাই আন্দোলনের সময় গুরুতর আহত হন এবং তার শরীরে ৩৬৫টি গুলি লাগে। অর্থাভাবে এখনো ২৮৮টি গুলি শরীরে বহন করছেন তিনি। হামলাকারিদের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করলেও ওই মামলার আসামিদের নাম বাদ দিতে তাকে চাপ দিচ্ছেন এনসিপির মানিকগঞ্জ জেলা প্রধান সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার ও যুগ্ম সমন্বয়কারী এএইচএম মাহফুজ।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মামলার ৫৯ নম্বর আসামি মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মতিনের নাম বাদ না দেওয়ায় তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি রাব্বির চিকিৎসার কথা বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করলেও তা তার কাছে পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রাব্বি বলেন, “জুলাই আন্দোলনে আমার শরীরে ৩৬৫টি গুলি লাগে। ৭৭টি গুলি অপারেশনের মাধ্যমে বের করতে পারলেও বাকি গুলিগুলো এখনো শরীরে রয়ে গেছে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা এনসিপির দুই নেতা আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে আমি ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি।”
তবে অভিযোগের বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী এএইচএম মাহফুজ বলেন, “রাব্বি নামের ওই ব্যক্তিকে আমি চিনি না। আমি বা জাহিদ তালুকদার কেউই কোনো মামলা প্রত্যাহারের চাপ দেইনি, কিংবা কারও কাছ থেকে টাকা নেইনি। অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
একইভাবে জেলার প্রধান সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার বলেন, “আমি রাব্বিকে চিনি না এবং তার মামলার বিষয়ে কোনো ধারণাও নেই। এই বিষয়ে এনসিপির কোনো নেতাকর্মীও জড়িত নয়।”
এনসিপির ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার বলেন, “অভিযোগ পেলে সংগঠনের শৃঙ্খলা টিমের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।