মুখের পাশাপাশি বগল, কাঁধেও কালচে দাগ হয়। একইভাবে কালচে দাগ পড়ে গোপনাঙ্গেও। তবে দেহের দৃশ্যমান অঙ্গগুলোর সৌন্দর্য নিয়ে মাথা ঘামালেও অদৃশ্যমান অঙ্গের ব্যাপারে সবাই লজ্জা পান।
ঊরুর ঘর্ষণ, আঁটসাঁট পোশাক, ঘাম, ওয়াক্স/শেভের পর জ্বালা, হরমোনজনিত পরিবর্তন, বংশগত কারণ ইত্যাদি গোপনাঙ্গের কালচে দাগের জন্য দায়ী। এসব কারণে বিকিনি লাইন, ইনার থাই, ইনগুইনাল ফোল্ড ইত্যাদি অংশ কালো হয়ে যায়। তবে সঠিক যত্ন নিলে তা ধীরে ধীরে আগের অবস্থানে ফিরে আসে। এজন্য কেমিক্যাল নয় বরং ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখুন-
সপ্তাহে দুইবার দই–ওটস–মধুর জেন্টল এক্সফোলিয়েটর
দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড হালকা কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশন দেয়, ওটস ত্বক শীতল করে মাইক্রো-এক্সফোলিয়েট করে আর মধু ত্বক নরম করে ও হাইড্রেটেড রাখে।
যা লাগবে: ২ টেবিল চামচ টক দই, ১ টেবিল চামচ ওটস গুঁড়ো (ব্লেন্ডারে হালকা ভেঙে নিন), ১ চা চামচ মধু।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: সব উপাদান মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। পরিষ্কার, শুকনো ত্বকে পাতলা লেয়ার দিন। ৮–১০ মিনিট অপেক্ষা করে ভেজা আঙুলে হালকা ঘষে গোল করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। জোরে ঘষবেন না। ৩–৪ সপ্তাহে এই টোটকা কাজে লাগালে গোপনাঙ্গের ত্বক স্মুথ হবে, ৬–৮ সপ্তাহে রঙে হালকা পরিবর্তন আসবে।
রোজ রাতে অ্যালোভেরা–গ্লিসারিন–রোজ ওয়াটার সুদিং জেল
অ্যালোভেরা ইনফ্ল্যামেশন কমায়, গ্লিসারিন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে আর রোজ ওয়াটার pH-কে কোমল রাখে। কালো দাগ হালকা করতে এই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
যা লাগবে: ২ টেবিল চামচ খাঁটি অ্যালোভেরা জেল, হাফ চা চামচ গ্লিসারিন, ১ চা চামচ রোজ ওয়াটার।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: সবগুলো উপাদান মিশিয়ে একটি জেল তৈরি করুন। গোসলের পর কিংবা রাতে শোয়ার আগে ত্বকে এর পাতলা লেয়ার লাগান। শুকিয়ে গেলে ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরে নিন। ২–৩ সপ্তাহে জ্বালা/ঘর্ষণের দাগ নরম হবে। ৬–৮ সপ্তাহ ব্যবহারে স্কিন টোন আরও সমান দেখাবে।
সপ্তাহে ৩-৪ দিন রাইস ওয়াটার (চাল ধোওয়া পানি) ও শসা
ফারমেন্টেড রাইস ওয়াটারে থাকে ইনোসিটল, যা স্কিন কেয়ারে ব্যবহৃত হয়। শসা ত্বকে ঠান্ডা ভাব এনে দেয়, কমায় লালচে ভাব।
যা লাগবে: চাল ভিজিয়ে ধোওয়া পানি (ভাল হবে ৮–১২ ঘণ্টা ফারমেন্টেড, ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন), ১ টেবিল চামচ শসার রস, ২–৩টি তুলোর প্যাড।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: রাইস ওয়াটার ছেকে তাতে শসার রস মেশান। তুলো ভিজিয়ে যে জায়গায় কাল দাগ রয়েছে, সেখানে ৫–৭ মিনিট কম্প্রেস দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন বা শুকিয়ে যেতে দিন। তারপর ময়েশ্চারাইজার লাগান। ৩–৪ সপ্তাহ এই টোটকা কাজে লাগালে ত্বক নরম হবে, উজ্জ্বলতা বাড়বে, জ্বলুনি কমবে।
সাবধানতা জরুরি
লেবুর রস, বেকিং সোডা, টুথপেস্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড, ব্লিচ এসব উপাদান ভুলেও গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করবেন না। এতে রসায়নিক বার্ন ও রিবাউন্ড ডার্কেনিং হতে পারে।
যাই ব্যবহার করেন প্রথমে সবসময় প্যাচ টেস্ট করুন (কনুই/উরুর ভেতরের দিকে একবার দেখতে হবে)। জ্বালা/র্যাশ হলে ব্যবহার বন্ধ করুন।
মনে রাখবেন, ত্বকের রঙ পরিবর্তন কোনোরকম রোগ নয়। এটি শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। যদি গোপানাঙ্গের কালচে ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা ফেরাতে চান, তাহলে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়েই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।