আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরব হজযাত্রীদের তীব্র গ্রীষ্মের তাপ থেকে রক্ষা করতে রোড-কুলিং টেকনোলজি ব্যবহার করেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রাস্তার তাপ শোষণ ও নির্গমন ক্ষমতা কমে যায়। ফলে রাস্তা তুলনামূলক অনেকটাই শীতল থাকে।
দেশটিতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজ করতে গিয়েছে লাখ লাখ হজযাত্রী। তাদের জন্য হজের অভিজ্ঞতাকে আরো নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে উদ্ভাবনী এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে দেশটি।
শুক্রবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি রোডস জেনারেল অথরিটির এক মুখপাত্র আবদুল আজিজ আল-ওতাইবি।
আবদুল আজিজ আরব নিউজকে বলেছেন, ‘সূর্যালোকের সংস্পর্শে সড়ক মূলত তাপ শোষণ করে থাকে এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শোষণ করা এই তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছায়।’
এর ফলে সড়ক তাপ নির্গমন শুরু করে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পবিত্র স্থানগুলোর চারপাশের ফুটপাতে ব্যবহারের জন্য তারা এমন একটি শীতল উপাদান তৈরি করেছে, যেটি ঐতিহ্যগত পদার্থের তুলনায় কম তাপ শোষণ এবং নির্গমন করে।
এ বিষয়ে আবদুল আজিজ বলেছেন, ‘আমরা যে উপাদানটি তৈরি করেছি তা রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি কার্যকর। কেননা, এটি সূর্যরশ্মিকে প্রতিফলিত করে, যা তাপ শোষণের মাত্রা কমিয়ে সড়কের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।’
তিনি বলেছেন, এতে রাস্তা ঠান্ডা থাকে, যা পথচারীদের জন্য হজযাত্রা আরও আনন্দদায়ক করে তোলে।
বিশ্বের লাখ লাখ হজযাত্রীর জন্য অবকাঠামো ও সেবা উন্নয়নে সৌদি আরবের চলমান প্রচেষ্টার একটি অংশ এই রোড-কুলিং টেকনোলজি।
আবদুল আজিজ আরও জানান, ‘ডাটা দেখা গেছে, শীতল এই উপাদানটি রাস্তার উপরিভাগের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমাতে সাহায্য করেছে।’
গত হজ মৌসুমে জামারাত করিডোরে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে রোড কুলিং টেকনোলজি প্রয়োগ করে সফল হয়েছিলেন তারা। তাই এবার মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফা এলাকার রাস্তায় এই প্রকল্প সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
আরাফাতের নামিরা মসজিদের কাছে ২৫ হাজার বর্গমিটার রাস্তাতেও এই উপাদানটি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবদুল আজিজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।