রিংকু কুণ্ডু : সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল উপজেলার গোলচত্বরে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ইন্টারচেইঞ্জ। ইতোমধ্যেই এর ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে মূল পাইলিং নির্মাণ কাজ। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি বদলে যাবে অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়া টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের আওতায় ২ লেনের মহাসড়কে চারলেনে উন্নতিকারণও চলছে জোরেশোরে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে এই ইন্টারচেইঞ্জ নির্মাণ কাজ শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের হলে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষের যোগাযোগ ক্ষেত্রে গতি আসার পাশাপাশি এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে প্রতিদিন চলাচল করে উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার প্রায় ২৫ হাজার যানবাহন। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রায় যানজটে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় এই মহাসড়কে চলাচলকারী দূরপাল্লার বাসের যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনগুলো চালকদের। আর ঈদের আগে ও পরে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি মহাসড়কে যানবাহনের গতি আনতে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সাসেক ২ প্রকল্পের আওতায় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ। হাটিকুমরুল গোলচত্বরে নির্মাণাধীন দৃষ্টিনন্দন এই ইন্টারচেইঞ্জে থাকছে নানা সুযোগ সুবিধা। আধুনিক নির্মাণ শৈলীর এই ইন্টারচেইঞ্জটির ঢাকা প্রান্তে ৭৫৫ মিটার, পাবনা প্রান্তে ৯৮০ মিটার, রাজশাহী প্রান্তে ৮০০ মিটার ও রংপুর প্রান্তে ৮১০ মিটারজুড়ে বিস্তৃত থাকবে।
এ ছাড়া থাকছে ৮টি ব্রিজ, পাঁচটি কালভার্ট, একাধিক আন্ডারপাস ও ফ্লাইওভারসহ ধীরগতির যানবাহনের জন্য পার্শ্ব রাস্তা। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করে এখন চলছে পাইলিং নির্মাণ কাজ।
সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক ও ট্যাংলরি মালিক গ্রুপের সভাপতি একরামুল হক রিজভী বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এই ইন্টারচেইঞ্জটি নির্মিত হলে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ক্ষেত্রে গতি আসার পাশাপাশি দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে কৃষিপণ্য। সেইসঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনাও অনেকাংশে কমে যাবে বলে জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিস ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদ ইউসুফ জুয়েল জানান, ইন্টারচেইঞ্জের মাধ্যমে বিভিন্ন করিডোরের সঙ্গে যুক্ত হবে এই মহাসড়ক এতে এই অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যেও বৈপ্লবিক অগ্রগতি হবে। সেইসঙ্গে এটির মাধ্যমে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এই মহাসড়কটি। এতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পণ্য আনানেয়া সহজ হবে।
হাটিকুমরুল ইন্টারচেইঞ্জ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুল আলম জানান, প্রায় ৭৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্টারচেইঞ্জটি নির্মাণ করছে চায়না রেলওয়ে কন্সট্রাকশন ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি নামে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি। এখন পর্যন্ত এই প্রকপ্লের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ১১ শতাংশ। সূত্র : সময় সংবাদ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।