জুমবাংলা ডেস্ক : ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতায় আইটি খাতে ক্ষতি হয়েছে অপূরণীয়। ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা বলছেন, ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামীতে যেন এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান আইটি খাত সংশ্লিষ্টদের।
রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বহুমুখী আইটি প্রতিষ্ঠান ‘ইন্সট্রাক্টরী’। এর আয়ের বড় অংশই আসে আউটসোর্সিংয়ের ক্রিয়েটিভ ডিজাইন থেকে। মূলত ফাইভার, আপওয়ার্ক ও ফ্রিল্যান্সারের মতো বৈশ্বিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ বেছে নেয় ‘ইন্সট্রাক্টরি’।
উদ্যোক্তারা জানান, টানা পাঁচদিন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় বিদেশি গ্রাহকদের অর্ডারের বিপরীতে দেয়া যায়নি ডেলিভারি। তাতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। একই অবস্থা বনশ্রীর বিডিকলিংয়েরও।
উদ্যোক্তা রিফাত ও নাহিদ জানান, যারা মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে বা আউট অব মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে তাদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।
সঠিক সময়ে সাড়া দিতে না পেরে গ্রাহকের নেগেটিভ রিভিউয়ে মার্কেটপ্লেসে রেটিং কমেছে অনেক ফ্রিল্যান্সারের। কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন সেই দুশ্চিন্তায় তারা।
ফ্রিল্যান্সার মিনহাজুল বলেন, ইন্সট্যান্ট রিপ্লাই এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্লইন্ডদের হাতে এত অপশন থাকে যে তাদের ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে রিপ্লে না দেয়া হয় তখন তারা অন্য অপশন বেছে নিবে।
বেসিসের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেটের না থাকায় শুধু সফটওয়্যার রপ্তানিতে ক্ষতি প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা। এই অবস্থায় এখন ভাবমূর্তি ফেরানোকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বিদেশের ক্যাবল কাটা গেলেও দেশের ভেতরে বাণিজ্য বন্ধ হবে না, প্রিপেইড মিটার বন্ধ হবে না, ই-কমার্স বন্ধ হবে না, লোকাল সার্ভিসগুলো তো ইন্টারনেটের ভেতর দিয়ে যায় এই নেটওয়ার্ক ডিজাইন করা, সেইফ ইন্টারনেট কনফার্ম এখন করতে হবে।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি ডা. তানজীবা রহমান বলেন, আমরা যারা আইটিখাতের তাদের তো ইন্টারনেট মাস্ট। তাই তাদেরকে আলাদা একটি হাব থেকে কানেকশন দেয়া হোক। ফ্রিল্যান্সার আইডিকার্ড হোল্ডার যারা আছে তারা সেই হাব থেকে কানেকশন নিবে এবং সেই হাবটি ডাউন করে দেয়া না হয় সেই ব্যবস্থা করে দেয়া হোক।
বর্তমানে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং, সফটওয়্যার তৈরি ও ডিজাইনসহ নানামুখী কাজে যুক্ত প্রায় ৩ লাখ মানুষ। এ খাত থেকে বছরে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় কমবেশি ২শ’ কোটি ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।