জুমবাংলা ডেস্ক : সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন। রাজধানীর মহাখালীতে খাজার টাওয়ারে আগুন লাগার পর দেশের ৪০ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবার বাইরে। এদিকে ভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। দু-একদিনের মধ্যে মালিকপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ১৩ তলায় আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আরও তিনটি তলায়। আগুন লাগার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুরোপুরি আগুন নেভানোর ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভসের সদস্যরা।
এই ভবনে ছিল বেশ কিছু ইন্টারনেট প্রোভাইডারের ডাটা সেন্টার। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় দেশের ৪০ শতাংশ গ্রাহকেরা ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হন। সকালে টেলিকম ডিভাইসগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি পায় ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি ইমদাদুল হক ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, ‘ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। আমরা ডাটা সেন্টার শিফট করার কাজ শুরু করেছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ২০-২৫ শতাংশ লাইন স্বাভাবিক করতে পারব। আর আগের মতো স্বাভাবিক হতে অন্তত ৭ দিন সময় লাগবে।’
তবে গতকাল খাজা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ ভবনা থাকা আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। বন্ধ রয়েছে তাদেরও কার্যক্রম। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি মালিকপক্ষ।
৫০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করুন এই ব্যবসায়
এদিকে ভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আগামী দুই একদিনের মধ্যে মালিকপক্ষের কাছে ভবনটি বুঝিয়ে দেওয়া বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।