বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মোবাইলের ইন্টারনেট স্পিডের গতি কম হলে কোনো কিছু ডাউনলোড করতে গেলে চরম বিরক্তির মধ্যে পড়তে হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ধীরগতির কারণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে হতে হয় নাজেহাল, পাশাপাশি মেসেজ পাঠানোর পরও ডেলিভারির জন্য বসে থাকতে হয় এক্ষেত্রে। তাই অল্প কিছু সেটিংসের পরিবর্তন ও কার্যক্রমের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
মোবাইল ইন্টারনেট স্পিড ধীর হয়ে যাওয়া বা মোবাইল ডিভাইসই ধীরগতিতে কাজ করলে ডিভাইসটি একবার রিস্টার্ট করলে সমাধান পাওয়া যায়। এছাড়া রিস্টার্ট করলে মোবাইলের অনেক খুঁটিনাটি সমস্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান পাওয়া যায়।
ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস পরীক্ষা করে ৪জি বা ৫জি স্পিডে নেওয়া যায় ইন্টারনেট গতিকে। এজন্য মোবাইলের নেটওয়ার্ক অপশনে গিয়ে ইন্টারনেট অপশন, তারপর মোবাইল নেটওয়ার্কে যেতে হবে। নেটওয়ার্ক মোড ২জি বা ৩জি-তে সেট করা থাকলে, এটিকে ৪জি বা ৫জি-তে পরিবর্তন করতে হবে। এতে ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি মোবাইলের কোনো আপডেট এলে এবং তা দীর্ঘদিন আপডেট দেওয়া না হলে ডিভাইস ও এর নেটওয়ার্ক ধীরগতির হয়ে যেতে পারে। তাই আপডেট এলে দেরি না করে তা দ্রুতই দিয়ে দেওয়া উচিত।
এছাড়া মোবাইলের অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডিলিট করলে বা মুছে ফেললেও এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মোবাইল ডিভাইসের ক্যাশ মেমোরি পরিষ্কার বা ক্লিন করেও সাময়িক সমাধান সম্ভব।
ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করে এমন কিছু অ্যাপ গুগল প্লে-স্টোরে রয়েছে। এসব অ্যাপের ব্যবহারেও ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো সম্ভব। তাছাড়া অনেক সময় ইন্টারনেট ব্রাউজার পরিবর্তন করেও দেখা যায় ইন্টারনেট স্পিড বেড়ে গেছে। তবে একেবারে ত্বরিত সমাধান পেতে মোবাইলের ফ্লাইট মোড অন করে, আবার অফ করলে ইন্টারনেট গতির পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। এতে নেটওয়ার্ক কানেকশন পুনরায় সেটআপ হয়, ফলে স্পিড বাড়তে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।