বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: মোবাইল ইন্টারনেট ফোরজির গতি বাড়াতে নতুন মানদণ্ড ঠিক করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলটরি কমিশ-বিটিআরসি। এতে ন্যূনতম গতি ৭ এমবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ১৫ এমবিপিএস করা হয়েছে। ফলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে, চাপে পড়বে গ্রাহক। তাই বিটিআরসির সাথে আলোচনায় বসতে চায় অপারেটররা।
দেশে চার বছর আগে চালু হয় চতুর্থ প্রজন্ম ফোরজি নেটওয়ার্ক। এসময় ন্যূনতম গতি ৭ এমবিপিএস ঠিক করে বিটিআরসি। তবে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি যাচাইয়ে বিটিআরসির সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় অপারেটর গ্রামীণফোন ৮ বিভাগের কোনোটিতেই ন্যূনতম গতি নিশ্চিত করতে পারছে না। রবি শুধু রংপুরে নূন্যতম গতি নিশ্চিত করতে পারলেও বাংলালিংক নিশ্চিত করতে পেরেছে ৪টি বিভাগে।
এই অবস্থায় এবার মোবাইল ইন্টারনেটের নূন্যতম গতি ১৫ এমবিপিএস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, নতুন মানদণ্ড বাস্তবায়নে অবকাঠামোর উন্নয়নে অপারেটরকে সময় দেবে বিটিআসি। তবে, গতির মানদণ্ড ঠিক না থাকলে শাস্তিসহ গুণতে হবে জরিমানা’।
অন্যদিকে অপারেটররা বলছে, বেশিরভাগ গ্রাহকদের বাড়িতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ থাকায় মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই। তাদের মতে, গতি বাড়লে গ্রাহকের খরচও বাড়বে, চাপ পড়বে ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসারে।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলটরি অফিসার শাহেদুল আলম জানান, ‘এই প্রেসার যখন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে সেটির একটি কস্ট ইফেক্ট থাকবে। এ বিষয়ে আরেকবার বিবেচনা করা দরকার আছে। ডিজিটাল ইকোনমিকে বড় করতে চাইলে এফরটেবল ইন্টারনেটের কোনো বিকল্প নেই।’
তবে, মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি বাড়ানোর পক্ষে বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এতে গ্রাহক সংখ্যা বাড়বে। তবে, মানদণ্ড বাস্তবায়নে নজরদারি জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।