বিনোদন ডেস্ক : বর্তমানে তিনি বলিউড বাদশা। পর্দায় রোমান্সের জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি তার। দু’হাত ছড়িয়ে নায়িকাকে বাহুডোরে বন্দি করে নেওয়ার মতো জাদু, আর কেউ কখনো দেখাতে পারেনি হয়তো। তিনি শাহরুখ খান।
তিনি একজনই। রোমান্সের কিং হিসেবে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করলেও, সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে অশ্লীলতা বা অন্তরঙ্গ দৃশ্য এড়িয়েই চলেছেন কিং খান। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে তার চলার পথ ছিল একেবারেই ভিন্ন। ৩০ বছর আগে ‘মায়া মেমসাব’ নামক একটি চলচ্চিত্রে দর্শকরা দেখেছিলেন ভিন্ন এক শাহরুখকে।
সহ-অভিনেত্রী দীপা সাহির সঙ্গে খোলামেলা অন্তরঙ্গ দৃশ্যে সজর কেড়েছিলেন শাহরুখ। মায়া মেম সাহেবের বিতর্কিত সেই দৃশ্যটি আজও রয়েছে দর্শকদের আলোচনায়।
বলিউড হাঙ্গামার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে, দীপা সাহি তার চলচ্চিত্র ‘মায়া মেমসাব’ সম্পর্কে কথা বলেছিলেন এবং বহুল আলোচিত প্রেম-নির্মাণের সেই দৃশ্যটির বিষয়েও মুখ খুলেছিলেন। সেই সিকুয়েন্সটি সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, “আমি প্রথমে হসে ফেলেছিলাম।
এটা অস্বস্তিকর হওয়ার লক্ষণ। কিন্তু তারপরে নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে। কারণ আপনাকে যা করতে হবে, তা করতেই হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমার মনে আছে একটি টেরেস পার্টিতে কেউ একজন শক্তি সামন্ত জি নামে, যিনি তখন সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের (সিবিএফসি) প্রধান ছিলেন। তিনি কেতন মেহতাকে এই সাহসী দৃশ্যের অনুমতি দেওয়ার জন্য আংশিক রাজি ছিলেন।
কিন্তু কিছু দৃশ্য কেটে ফেলতে চেয়েছিলেন। পার্টিতে তিনি আমাকে সদয়ভাবে উত্তর দিলেন, ‘আপনি কেতনের করা কবিতার একটি চমৎকার অংশ এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে কোনও দৃশ্য কাটা হবে না!’ এটা অনেক সুন্দর ছিল!”
বলিউডে ‘মায়া মেম সাব’ খ্যাত দীপা সাহির ক্যারিয়ার আর দীর্ঘ হয়নি। গ্ল্যামার জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি এই তারকা। ২০১১ সালে ‘তেরে মেরে ফেরে’ নামক চলচ্চিত্র পরিচালনা করে পরিচালনায় নাম লেখান এই অভিনেত্রী। তবে এরপর আর কোনো নির্মাণে দেখা যায়নি তাকে। ২০১৪ সালে ‘রঙ রাসিয়া’ এবং ২০১৫ সালে ‘মানঝি : দ্যা মাউন্টেন ম্যান’ চরচ্চিত্রে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।