আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি’র আবিষ্কারক কে? সুস্বাদু এই খাবার দুটি নিয়ে ভারতের নয়াদিল্লির দুই রেস্তোরাঁর লড়াই গড়িয়েছে আদালতে। দুই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষেরই দাবি, তাদের পূর্বপুরুষরা পাকিস্তানের পেশাওয়ারে থাকা অবস্থায় এই রেসিপি আবিষ্কার করেছেন। গত সপ্তাহে উচ্চ আদালতে মামলার পর পরবর্তী শুনানি আগামি মে মাসে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ভারতীয় খাবারের একটা আলাদা জায়গা আছে। এসবের মধ্যে কিছু খাবার রয়েছে, যা যুগের পর যুগ ধরে মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সেরকম দুটি খাবার হলো বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি। কিন্তু এই মুখরোচক খাবার দুটির স্বত্ব নিয়ে সম্প্রতি লড়াইয়ে নেমেছে ভারতের নয়াদিল্লির নাম করা দুই রেস্তোরা।
একদিকে দিল্লির অন্যতম পুরনো মোতিমহল রেস্তোরাঁ, অন্যদিকে কিছুটা পরে আসা দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁ। মোতিমহল দাবি করছে, তার প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা কুন্দললাল গুজরাল ১৯৩০ সালে বর্তমান পাকিস্তানের পেশাওয়ারে এই রেসিপি আবিষ্কার করেছেন। পরে রেস্তোরাঁটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। এনিয়ে ৭৫২ পাতার একটি নথি নিয়ে, ক্ষতিপুরণ ও স্বত্ব চেয়ে দিল্লি উচ্চ আদালতে মামলা করেছে তারা।
অন্যদিকে এসব দাবি মানতে নারাজ দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁ। তাদের দাবি, পারিবারিক সদস্য কুন্দল লালা জগগি ও কুন্দললাল গুজরাল দুজন মিলেই পাকিস্তানে একসঙ্গে এই রেসিপি আবিষ্কার করেছেন। যদিও এর প্রমাণ হিসেবে তারা ১৯৪৯ সালে নিবন্ধিত নথিও দেখিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কিছু।
মতিমহল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিশ গুজরাল বলেছেন, আমাদের উত্তরাধিকার আমরা কাউকে কেড়ে নিতে দেবো না। আমাদের ব্র্যান্ড বা ট্যাগলাইন কাউকেই লঙ্ঘন করতে দেবো না। জনগন যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেজন্যই আমরা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা চাই না আমাদের রেসিপিতে অন্য কেউ কিছু সংযুক্ত করে নাম খারাপ করুক।
অন্যদিকে দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমিত বাজ্ঞার ভাষ্য, বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি দুটোই খুব বিখ্যাত এবং এই রেসিপিগুলো মোতিমহল রেস্তোরাঁয় আবিষ্কার হয়েছে। আর তখন এই রেস্তোরাঁর তিনজন অংশীদার ছিলেন, যার মধ্যে একজন কুন্দল লালা জগগি। এ কারণেই আমরা একই নাম ব্যবহার করেছি।
ভারতীয় টিভি চ্যানলে এই খাবারের ইতিহাস সম্প্রচারের পর, সামাজিক মাধ্যমে তা বেশ সাড়া ফেলেছে। এদিকে, প্রায় চার লাখ ব্যবহারকারীর রেটিং পেয়ে খাবারটি বিশ্বের সেরা খাবারের তালিকায় ৪৩তম স্থান পেয়েছে একটি ওয়েবসাইটে।
গত সপ্তাহে দিল্লি উচ্চ আদালতে মামলাটির প্রথম শুনানি হয় এবং পরবর্তী শুনানি আগামি মে মাসে নির্ধারণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।