অ্যাপল তার নতুন iPhone Air-এ স্টোরেজ আপগ্রেডের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। একজন টেক মডার ডিরেক্টরফেং এটি আবিষ্কার করেছেন। তিনি iPhone Air-এর স্টোরেজ ২৫৬জিবি থেকে ১টিবি-তে আপগ্রেড করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। এটি ঘটেছে সেপ্টেম্বর মাসে, তার ওয়ার্কশপে। অ্যাপল নতুন হার্ডওয়্যার সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে বলেই মনে হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবহারকারীরা এখন আর নিজেরা ফোনের স্টোরেজ বাড়াতে পারবেন না। তাদেরকে অ্যাপলের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে বেশি স্টোরেজের মডেল কিনতে হবে। এটি অ্যাপলের রিপেয়ার নীতির সাথে সাংঘর্ষিক বলে অনেকের মত।
কীভাবে কাজ করে অ্যাপলের নতুন লক?
মডারটি iPhone Air-টি ওপেন করে মূল লজিক বোর্ডে পৌঁছান। তিনি দেখেন নতুন ‘2NB’ সিরিয়াল নম্বরযুক্ত একটি স্টোরেজ চিপ লাগানো আছে। এটি আগের আইফোন মডেলগুলোতে দেখা যেত না।
এরপর তিনি পুরোনো স্টোরেজ চিপটি সরিয়ে একটি ১টিবি ক্ষমতার নতুন চিপ বসান। সোল্ডারিং কাজ সফলভাবে শেষ হয়। কিন্তু যখন তিনি Mac-এর সাহায্যে ফোনে iOS সফটওয়্যার ইন্সটল করতে যান, তখনই সমস্যা দেখা দেয়।
একটি ‘4014’ এরর কোড দেখিয়ে সিস্টেম ইন্সটলেশন বন্ধ করে দেয়। তিনি ৫১২জিবি এবং ২৫৬জিবির চিপ দিয়েও চেষ্টা করেন। কিন্তু একই সমস্যাoccur হয়। এটি প্রমাণ করে অ্যাপল ইচ্ছেকৃতভাবেই এই বাধা তৈরি করেছে।
সাধারণ ব্যবহারকারীরা কী করবেন?
এই নতুন নীতি সাধারণ গ্রাহকদের জন্য বিরক্তিকর। যদি আপনার ফোনের স্টোরেজ ভরে যায়, এখন আপনার একমাত্র উপায় হবে iCloud-এ জায়গা কিনে নেওয়া। অথবা নতুন, বেশি স্টোরেজের ফোন কিনতে হবে।
তৃতীয় পক্ষের রিপেয়ার শপগুলোর জন্যও এটি বড় ধরনের সমস্যা। তারা এখন আর সস্তায় গ্রাহকদের স্টোরেজ বাড়িয়ে দিতে পারবে না। এটি তাদের ব্যবসার উপর negative প্রভাব ফেলবে।
অ্যাপলের এই সিদ্ধান্ত পরিবেশের জন্যও ভালো নয়। কম স্টোরেজের ফোনটি আপগ্রেড না করে ব্যবহারকারীরা হয়তো এটি ফেলে দিয়ে নতুন । এটি ই-ওয়েস্ট বাড়িয়ে দেবে।
ভবিষ্যতের জন্য কী রয়েছে?
বর্তমানে iPhone Air-এর স্টোরেজ আপগ্রেড করা практически অসম্ভব। তবে ভবিষ্যতে মডাররা হয়তো এই লক ভাঙ্গার উপায় বের করবে। কিন্তু সেটি হতে আরও অনেক সময় লাগবে।
এই ঘটনাটি প্রমাণ করছে যে অ্যাপল তার ডিভাইসের উপর users-এর control কমাতে চায়। এটি Right to Repair আন্দোলনের জন্য একটি বড় setback। গ্রাহকদের এখন খুব সচেতনভাবে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী স্টোরেজ নির্বাচন করতে হবে।
জেনে রাখুন-
Q1: iPhone Air-এ স্টোরেজ আপগ্রেড করা যাবে না কেন?
অ্যাপল নতুন হার্ডওয়্যার লক দিয়েছে, যা অপ্রাতিষ্ঠানিক স্টোরেজ চিপ চেনে না।
Q2: এই সমস্যার সমাধান কি আসবে?
ভবিষ্যতে মডাররা সমাধান বের করতে পারে, কিন্তু এখনই কোনো উপায় নেই।
Q3: আমার ফোনের স্টোরেজ কম হলে কী করব?
আপনি iCloud স্টোরেজ কিনতে পারেন বা বেশি স্টোরেজের নতুন ফোন কিনতে পারেন।
Q4: অ্যাপল কেন এই সিদ্ধান্ত নিল?
ধারণা করা হয়, তারা মডেল বিক্রি এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক রিপেয়ার বন্ধ করতে চায়।
Q5: অন্য আইফোন মডেলেও কি এমন হবে?
ভবিষ্যতের আইফোন মডেলেই অ্যাপল এই নীতি চালু করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।