বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল চর্চিত একটি স্মার্টফোন আইফোন। যার আবার নতুন সিরিজ আইফোন ১৫ আসার দিনক্ষণও ঠিক সেপ্টেম্বর মাসেই। নতুন হ্যান্ডসেট আসার আগেই বড় ধাক্কা পেল অ্যাপেল।
কারণ চীন সরকার তাদের সরকারি কর্মচারীদের আইফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সরকার অধীন যে সমস্ত সংস্থা রয়েছে বিশেষ করে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত দফতরগুলিতে কর্মরত কর্মীদের আইফোন ব্যবহার করতে বারণ করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন সরকার তাদের কর্মীদের অফিসে আইফোন নিয়ে আসতে বারণ করেছে।
সূত্রের খবর, আগামী দিনে আরও অনেক দফতরে এই নির্দেশ জারি করতে পারে চীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে সংঘাতের মধ্যে এ হেন সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলতে পারে অ্যাপেলের ব্যবসায়। কারণ বরাবরই সংস্থার কাছে চীন একটি বৃহত্তম বাজার। এ দেশে রয়েছে সংস্থার একাধিক স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানা। সুতরাং এই সিদ্ধান্ত যে তাদের কপালে ভাঁজ ফেলতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চিনে কেন বন্ধ করা হচ্ছে আইফোন?
কতগুলি দফতরে বা কেমন স্তরে আইফোন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা সংখ্যায় প্রকাশ না হলেও সূত্রের দাবি, বিদেশী প্রযুক্তির উপর নির্ভরতা কমাতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি স্মার্টফোন বা সফটওয়্যার ব্যবহার করা থেকে ধীরে ধীরে পিছু হটছে চীন। দেশীয় সংস্থাগুলির পণ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিতে চাইছে এই দেশ।
হুয়াওয়ের অত্যাধুনিক স্মার্টফোন
হুয়া এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার এক বিশ্লেষক মনে করছেন আইফোনকে টক্কর দিয়ে চিনের সংস্থা হুয়াওয়ে সাম্প্রতিককালে একাধিক হাই-এন্ড স্মার্টফোন লঞ্চ করেছে। যেখানে ব্যবহার হয়েছে চিনের তৈরি ৭ ন্যানোমিটার চিপসেট। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে চীনকে অত্যাধুনিক চিপ প্রস্তুতকারী উপাদান রফতানি করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও একের পর এক আধুনিক স্মার্টফোন আনছে চিনের মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। তাই আইফোনের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর সিদ্ধান্ত চিনের।
অ্যাপেলের উপর কী প্রভাব?
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের এই সিদ্ধান্ত রাতের ঘুম হারাম হতে পারে মার্কিন সংস্থার। কারণ এই দেশের উপর বড় পরিমাণে নির্ভর অ্যাপেল। সংস্থার উৎপাদন এবং আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বড় অবদান রেখে এসেছে চীন। সেই ক্ষেত্রে দেশের নাগরিকদের আইফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তাদের ব্যবসায় ধস নামতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। গত অর্থ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যাপলের মোট আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ চীন থেকে এসেছে। দেশের সরকারের এই সিদ্ধান্ত আসার পরই মাত্র দুই দিনে ২০০ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছে অ্যাপেল। শেয়ার পড়েছে ২.৯ শতাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।