বিনোদন ডেস্ক : গত বছর ‘পাঠান’ হয়ে বড় পর্দায় কামব্যাক করেছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তার পরই ‘জওয়ান’ সুনামির সাক্ষী থাকেন অনুরাগীরা।
জানেন কি, জওয়ান সিনেমায় ডা. ইরামের যে ব্যাকস্টোরি দেখানো হয়, তা সত্যিই ঘটেছিল। সিনেমার ডা. ইরামের বাস্তব জীবনের নাম কফিল খান। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের হাসপাতালেও অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব দেখা দিয়েছিল। কফিল খান নামে সেখানকার এক চিকিৎসক নিজের খরচে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এনসেফাল্যাইটিসে আক্রান্ত ৬৩ জন শিশু। কফিলের দাবি, হাসপাতালের পরিস্থিতি উচ্চপদস্থদের জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। বরং শিশুদের মৃত্যুর পর মিথ্যা অভিযোগে কফিলকে জেলে পাঠানো হয়।
২০২১ সালে এই ঘটনা নিয়ে একটি বইও লেখেন তিনি। ‘জওয়ান’ মুক্তির পর ছবি নির্মাতাসহ শাহরুখকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন কফিল।
কফিল বলেন, ‘বড় পর্দায় আসল অপরাধী সাজা পেয়ে যায়। কিন্তু বাস্তব বড়ই কঠিন। আমার সঙ্গে আরও ৮১টি পরিবার আজও ন্যায়ের পথ চেয়ে বসে রয়েছে।’ বাস্তবের কফিলই যেন শাহরুখের ছবিতে ইরাম হয়ে উঠেছিল।
উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে স্ট্যাটাস, নায়লা বললেন ‘মজা করে লিখেছি’উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে স্ট্যাটাস, নায়লা বললেন ‘মজা করে লিখেছি’
সিনেমায় কফিলের ভূমিকায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী সানিয়া। হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা শুট করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল মেনে নেন সানিয়া। বাস্তবেই সেই করুণ পরিস্থিতির সাক্ষী তিনি, মনে হচ্ছিল সানিয়ার। অভিনেত্রী বলেন, ‘অনেক দিন সময় লেগেছিল নিজেকে সামলাতে। আমি সঠিকভাবে বলতে পারব না, কেন আমি ওতটা বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু শুট শেষ করার কয়েকদিন পরেও আমি ঘুমোতে পারতাম না। অস্বস্তি কাজ করত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।