আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ সাতজন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আজারবাইজান প্রদেশে একটি জলাধার উদ্বোধন শেষে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরে যাওয়ার সময় তার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। রাইসির হেলিকপ্টারের সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন তুরস্কের পরিবহণমন্ত্রী আবদুল কাদির উরালোগলু। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের সন্ধানে ড্রোন পাঠায় তুরস্ক।
তুরস্কের মন্ত্রী আবদুল কাদির উরালোগলু বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সিগন্যাল সিস্টেম চালু ছিল না অথবা এটিতে তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সেন্টার ফর অ্যাভিয়েশন অ্যাক্সিডেন্ট পরিচালিত এক জরুরি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, ইরানের দুর্বলতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তুর্কি পরিবহণমন্ত্রী বলেন, আমরা হেলিকপ্টার থেকে একটি সংকেত পরীক্ষা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সম্ভবত হেলিকপ্টারটির সিগন্যাল সিস্টেমটি বন্ধ ছিল বা হেলিকপ্টারটিতে সিগন্যাল সিস্টেমই ছিল না। ফলে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারিনি।
তুরস্কের পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, তারা গতরাতে ইরান থেকে একটি কল পান যাতে সংকেত শনাক্ত করতে সহায়তা চাওয়া হয়। তিনি বলেন, আমরা সংকেতটি পরীক্ষা করেছি।
কোমর দুলিয়ে দুর্দান্ত ড্যান্স দিলো যুবতী, ঝড় তুললো নেট দুনিয়ায়
তিনি আরও জানান, আমরা জানি না আসলে হেলিকপ্টারটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ছিল না নাকি এটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে হলেও এটি বন্ধ থাকার কথা নয়। সব ধরনের বিমান, বিশেষ করে যেসব হেলিকপ্টার রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বহন করে, সেগুলোতে এ ব্যবস্থা থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র: আলজাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।