আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত রাত ৩টার দিকে সাইরেনের শব্দ ও মোবাইলের সতর্কবার্তায় ঘুম ভাঙে ইসরায়েলের জনগণের। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে জানানো হয়, তাদের সামনে একটি ‘গুরুতর হুমকি’ রয়েছে। তাই, সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি স্থানে অবস্থান করে।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, সারা দেশে রক্ত সংগ্রহের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে এবং যেসব রোগী বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো কিছুটা সুস্থ, তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে ইসরায়েলের হাসপাতালগুলো।
অন্যদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পশ্চিম তীরে সব ফিলিস্তিনি শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এইসব প্রস্তুতির মূল কারণ পাল্টা হামলার আশঙ্কা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে প্রায় ১০০টি ড্রোন ইতোমধ্যে ইসরায়েলের নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বাধা দিতে ইরানে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরাযেল। রাতভর চলা এই হামলায় ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এই হামলার মাত্রা, ব্যাপকতা ও সময়কাল এমনভাবে পরিকল্পিত যে এটি ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের ইঙ্গিত’ বলেই মন্তব্য করছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
ইতিমধ্যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। শতাধিক যুদ্ধড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে তারা। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো ক্ষয়ক্ষতির কোনো তালিকা পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।