আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় চালানো মার্কিন হামলায় দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি ‘এক থেকে দুই বছর পেছাতে বাধ্য হয়েছে’ বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে দাবি করেছিলেন, ইরানের পরমাণু সক্ষমতা ‘অভূতপূর্বভাবে ধ্বংস’ করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, আমাদের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ইরানের কর্মসূচি কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর পেছানো গেছে। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।
এর আগে ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন’ করা হয়েছে। তবে কিছু মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মূল উপাদানগুলো অক্ষত থাকায় কর্মসূচিটি কেবল ‘কয়েক মাসের জন্য বিলম্বিত’ হয়েছে।
ইরান এখনো স্পষ্ট করে জানায়নি, হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ট্রাম্প হামলার প্রভাব ‘বাড়িয়ে বলছেন’।
তেহরান দাবি করছে, তারা তাদের সরকার, ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচির কাঠামো অক্ষত রেখেছে। এটাই তাদের ‘বিজয়’।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, হামলার পর ইরান তাদের সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেছে। ফলে এখন দেশটির পরমাণু কর্মসূচি কার্যত নজরদারির বাইরে চলে গেছে।
আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানান, ইউরেনিয়াম মজুতের কিছু অংশ হয়তো ধ্বংস হয়েছে, আবার কিছু স্থানান্তর করা হয়ে থাকতে পারে। তবে এর কোনো নিরপেক্ষ বা স্বাধীন মূল্যায়ন এখনো পাওয়া যায়নি।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল সরাসরি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপর ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। যুদ্ধের ১০ম দিনে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত হয় এবং ইরানের তিনটি স্থাপনায় হামলা করে। পরবর্তীতে ইরান কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়, তবে কোনো হতাহত হয়নি। এই যুদ্ধের ১২তম দিনে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, পরমাণু স্থাপনা বা বিপজ্জনক শক্তির কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা নিষিদ্ধ। ফলে ইরানের আইনি আপত্তির পক্ষে আন্তর্জাতিকভাবে সহানুভূতি থাকতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।