বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আবারও উঠে এসেছে পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যু। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান পরমাণু চুক্তি আলোচনার মাঝেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Table of Contents
‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানালে সামরিক পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা নেই’ — ট্রাম্প
গেল শনিবার ওমানে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বৈঠকের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে, তবে তা সহ্য করা হবে না। প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ নিতেও আমরা প্রস্তুত।”
ট্রাম্প দাবি করেন, তেহরান ইচ্ছাকৃতভাবে পরমাণু চুক্তি বিলম্বিত করছে এবং এখন ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রায় কাছাকাছি’ পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন, “ইরানকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নয়তো তাদের ভয়ংকর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাবে?
ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “অবশ্যই সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে।” তিনি জানান, ইরানের যেকোনো ‘আগ্রাসী পরমাণু কর্মকাণ্ড’ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাঁরা প্রস্তুত।
ইরানের পাল্টা অবস্থান
ইরান এখনো অস্বীকার করে আসছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। তাদের বক্তব্য, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে। তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, ইরানের কিছু পদক্ষেপ সন্দেহজনক।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও পরিণতি
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে এগোয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার ঝুঁকি তৈরি হবে। এতে কেবল ইসরায়েল নয়, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এমনকি ইউরোপীয় দেশগুলোও অস্থির হয়ে উঠবে।
বর্তমানে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তির অগ্রগতি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ইরান যদি চুক্তি না মানে, তবে বিশ্ব কি তার পরিণতির জন্য প্রস্তুত?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।