জুমবাংলা ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে একটি বাসার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতেন আনিছুর রহমান। সুযোগ পেয়ে নিজের মোবাইল ফোনে বাসার মালিকের আপত্তিকর কিছু ভিডিও ধারণ করে রেখেছিলেন। দেশে ফিরে মালিকের হোয়াটসঅ্যাপে ওই সব ভিডিও পাঠিয়ে দুই লাখ ডলার দাবি করেন তিনি। দাবি করা ওই ডলার না পেলে ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন।
ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে আসেন ভুক্তভোগীর এক ছেলে। তিনি বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই আনিছুরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আনিছুর রহমান (৩২) শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর গ্রামের মো. শহিদুল্লার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস. আই.) হেলাল উদ্দিন শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আনিছুর।’
তিনি জানান, আনিছুর রহমান ২০২১ সাল থেকে ইরাকের কিরকুক শরিজা শহরের একটি বাসায় কাজ করতেন। কাজ করার সুযোগে বাসার মালিকের কিছু আপত্তিকর ভিডিও নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করে রেখেছিলেন। গত ১৭ মে ছুটি নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
এরপর মালিকের হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওগুলো পাঠিয়ে দুই লাখ ডলার দাবি করেন।
বিষয়টি জেনে যায় ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে ভুক্তভোগীর ছেলে দাবান কাওয়া গারিফ প্রতিকার পেতে বাংলাদেশে আসেন। তিনি ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে তাৎক্ষণিক মামলা নেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে নিজের বাড়ি থেকে আনিছুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।