বিনোদন ডেস্ক : মার্ভেলের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘আয়রনম্যান’ হিসেবে আর ফিরছেন না হলিউড সুপারস্টার রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন জল্পনা কল্পনা ও গুঞ্জন চলমান রয়েছে যে মার্ভেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্রটিতে ফিরবেন রবার্ট। আয়রনম্যান ভক্তরাও আশায় বুক বেঁধেছিলেন রবার্টের ফেরার অপেক্ষায়। তবে মার্ভেল স্টুডিওর সভাপতি কেভিন ফেইজ জানালেন, আয়রনম্যানের ফেরার আর কোনো সুযোগ নেই।
ভ্যানিটি ফেয়ারের সঙ্গে কথোপকথনে কেভিন ফেইজ জানালেন, মার্ভেলের অ্যাভেঞ্জার্স চরিত্র হিসেবে আয়রনম্যানের পুনরায় ফেরার সুযোগ নেই আর। ‘আয়রনম্যান’ খ্যাত টনি স্টার্কের চূড়ান্ত আবেগময় মুহূর্তগুলি সম্পর্কে ফেইজ বলেন, ‘আমরা সেই মুহূর্তটিকে ধরে রাখতে যাচ্ছি এবং সেটিকে আর স্পর্শ করতে যাচ্ছি না। এটি পেতে অনেক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি আমরা সবাই।’
রবার্ট ডাউনি জুনিয়রকে টনি স্টার্কের চরিত্রে ফিরিয়ে আনা তার ‘অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেম’-এর মৃত্যুকে অর্থহীন করে তুলবে।
আয়রনম্যান তার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য মারা গেছেন এবং এই সিদ্ধান্ত চমৎকার একটি সমাপ্তি দিয়েছে চিত্রনাট্যের। তাকে ফিরিয়ে এনে সেই জায়গাটা নষ্ট করার আর সুযোগ নেই বলেও জানান কেভিন ফেইজ।
আয়রনম্যান হিসেবে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রকে নির্বাচিত করার প্রসঙ্গে কেভিন ফেইজ বলেন, “এটি সম্পূর্ণরূপে মার্ভেল বোর্ডের কাছে চিন্তার বিষয় ছিল যে তাদের ভবিষ্যত চলচ্চিত্রে তাদের সমস্ত প্লান এমন একজনকে ঘিরে স্থাপন করতে হবে যে অতীতে আইনী সমস্যায় ভুগেছেন। ‘আমি খুব ভালো ছিলাম না’ এবং ‘আমি এখনও দুর্দান্ত নই’- এ ধরনেও উত্তর আরো বিভ্রান্তিতে ফেলেছে তাদের।
কিন্তু আমি পথ খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছি। আমি অন্যদের কাছে এটি পরিষ্কার করেছি যে আমাদের যেকোন একটি দিকে যেতে হবে। আর তখনই স্ক্রিন টেস্টের ভাবনা আসে।” মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের দশটি সিনেমায় টনি স্টার্ক অর্থাৎ আয়রন ম্যান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এই চরিত্র দিয়েই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন রবার্ট।
২০০৮ সালে আয়রন ম্যান দিয়ে শুরু এবং ২০১৯ সালে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ দিয়ে যে যাত্রা শেষ হয়েছে। এই বছরের শুরুতে, পরিচালক জন ফাভরিউ প্রকাশ করেছিলেন যে অভিনেতা সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী।
এদিকে, রবার্টকে সর্বশেষ দেখা গেছে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহেইমার’-এ। এটি বছরের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টারগুলির মধ্যে একটি। লুইস স্ট্রস হিসাবে চলচ্চিত্রে অভিনেতার অভিনয় ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত ‘ওপেনহেইমার’-এ মুল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সিলিয়ান মারফি। কাই বার্ড এবং মার্টিন জে শেরউইনের জীবনীমূলক বই ‘আমেরিকান প্রমিথিউস : দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অব জে রবার্ট ওপেনহেইমার’-এর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই সিনেমাটি। পুরস্কার বিজয়ী বইটি দুই দশকেরও বেশি গবেষণার পর ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। জে. রবার্ট ওপেনহাইমার ছিলেন আমেরিকান তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, যিনি পারমাণবিক বোমার জনক হিসেবে স্বীকৃত।
মেয়াদ নেই এমন ওষুধ খেলে কী মৃত্যু হতে পারে? জানুন আসল সত্যিটা
সিনেমাটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন এমিলি ব্লান্ট, ফ্লোরেন্স পুগ, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ম্যাট ড্যামনসহ একাধিক তারকা। বিশ্বব্যাপী ৯৫২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে ওপেনহাইমার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।