জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মসহ নানা অভিযোগের তদন্ত চলছে পাঁচ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে কয়েকজনের অনিয়মের প্রমাণও পাওয়া গেছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে উপাচার্যদের অনিয়ম থামছে না।
৩৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২ ডিসেম্বর নিয়োগ হয় ৫৮ জনের। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজনকে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জিহাদ পারভেজ জানান, এই নিয়োগের ব্যাপারে কোনো ধরনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। আবার যে বোর্ড বসেছে সেখানেও বিভাগীয় কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।
এসব অভিযোগ তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। যদিও উপাচার্য বলছেন, নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে।
অভিযুক্ত অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত টেলিফোনে বলেন, ‘নিয়োগ কার্যক্রমে জেনে বুঝে আমরা কোনো অনিয়ম করি নাই।’
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে ইসলামি বিশ্বববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরীন আখতার এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম রুস্তম আলীর বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। ইউজিসি বলছে, প্রাথমিকভাবে অনিয়মের সত্যতা মিলেছে।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। প্রথমিকভাবে সত্যতা না মিললেও অধিকতর তদন্ত করছে ইউজিসি। একই বিশ্বিবদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কালামের বিরুদ্ধেও আর্থিক অনিয়মের তদন্ত চলছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সচিব ফেরদৌস জামান জানিয়েছেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে একটি এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কালামের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে মোট দুটি অভিযোগ এসেছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই এ সংক্রান্ত রিপোর্ট সাবমিট করার কথা রয়েছে।
শিক্ষাবিদেরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ লজ্জাজনক। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘একজন শিক্ষক যখন আর্থিক কোনো অনিয়মে সায় দেন বা গা ভাসিয়ে দেন, এটি একটি মারাত্মক ক্ষতিকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। যোগ্য ব্যক্তিরা উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ না পাওয়ায় এই অবস্থা।’ সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
https://www.itvbd.com/133166
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।