আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বয়স নিয়ে মজা করা হয়তো অনেকেই পছন্দ করবেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্য কেউ করুক আর না করুক, তিনি নিজেই নিজের বয়স নিয়ে ক্রমাগত কৌতুক করে চলেছেন। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট হয়েও বাইডেন যখন ফের নির্বাচনে লড়ার আশা করছেন, তখন ভোটারদের মধ্যে তার বয়স নিয়ে উদ্বেগ দূর করতে এই প্রচেষ্টা অস্বাভাবিক নয়।
গত সোমবার (২০ নভেম্বর) ৮১ বছরে পা দিয়েছেন জো বাইডেন। এ উপলক্ষে হোয়াইট হাউজে এক জাঁকজমক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন থ্যাংকসগিভিংয়ের টার্কি অবমুক্ত করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এখনই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি যদি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন এবং চার বছরের পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করেন, তাহলে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার সময় তার বয়স হবে ৮৬ বছর।
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার জনসম্মুখে সিঁড়িতে হোঁচট, পা পিছলে পড়ে যাওয়া কিংবা কথা জড়িয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছেন জো বাইডেন। এ নিয়ে কখনো কখনো মজাও করেছেন তিনি।
কিন্তু একের পর এক জরিপ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টের বয়স নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
এ অবস্থায় নিজের ৮১তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অতিথিদের সামনে বাইডেন হাসতে হাসতে বলেন, আমি আপনাদের জানাতে চাই, ৬০ বছরে পা দেওয়া সত্যিই কঠিন।
এরপর লিবার্টি ও বেল নামে দুটি টার্কিকে মুক্তি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নাহলে পাখি দুটি হয়তো থ্যাংকসগিভিংয়ে কারও প্লেটের খাবার হতে পারতো।
এদিন নিজের জন্মদিন নিয়ে আরও কিছু কৌতুক করেন জো বাইডেন। তবে একটি কৌতুক করতে গিয়ে জনপ্রিয় মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফট ও ব্রিটনি স্পিয়ার্সের পরিচয় গুলিয়ে ফেলেন তিনি।
বাইডেন বলেন, মুক্তির জন্য নির্বাচিত হতে লিবার্টি ও বেলকে বহু প্রতিকূল পরিস্থিতি পার হতে হয়েছে। এটি বিয়ন্সের রেনেসাঁ ট্যুরের টিকিট পাওয়ার চেয়েও কঠিন, কিংবা ব্রিটনির ট্যুর… এখন ব্রাজিলে কিছুটা গরম চলছে।
মূলত গত শুক্রবার রাতে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে কনসার্ট ছিল টেইলর সুইফটের। কিন্তু অত্যাধিক গরমে এক ভক্তের মৃত্যুর কারণে পরের দিনের কনসার্ট স্থগিত করেন তিনি।
জরিপে পিছিয়ে বাইডেন
নির্বাচনে বাইডেনের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান বয়স ৭৭ বছর। তিনিও বিভিন্ন সময়ে ভুলভাল কথা বলে আলোচনায় এসেছেন। কিন্তু জরিপ বলছে, ট্রাম্পের তুলনায় বাইডেনের বয়স নিয়েই মার্কিন ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ বেশি।
সম্প্রতি এবিসি/ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ মানুষ বলেছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য বাইডেনের বয়স খুব বেশি। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এর হার ৫০ শতাংশ।
আবার ইয়াহু/ইউগভের জরিপে ৫৪ শতাংশ মার্কিনি বলেছেন, বাইডেনের আর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা নেই। ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে এমন মত দেওয়া ভোটারদের হার ছিল ৪১ শতাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।