নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে প্রথমবারের মত হলুদ ড্রাগনের নতুন জাত বিশ্বখ্যাত আইসিস গোল্ড, গোল্ডেন ইয়েলো এবং পিটাহায়া ইয়েলো জাতের সফল বাণিজ্যিক ফলন হয়েছে চাঁদপুরের ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রোতে।
এই তিনটি জাত এদেশে একবারেই নতুন বলে উল্লেখ করে ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রোর মালিক সিনিয়র সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন জুমবাংলাকে জানান, ‘একই সাথে লাল ও ক্ষয়েরী রংয়ের আমেরিকান ব্রাউন বিউটি এবং লা ভার্ন রেড হাইব্রিড ফলনেও আমরা সফল হয়েছি।’
ব্যক্তিগত পর্যায়ে কারো কারো কাছে এসব জাত থাকলেও পরীক্ষামূলক সফল বাণিজ্যিক ফলন এই প্রথম ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রোতে হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
হেলাল উদ্দিন জানান, ‘ড্রাগনের নতুন এই জাতগুলো এখন সারাদেশেই ছড়িয়ে দেয়া হবে। এসব জাত উচ্চ ফলনশীল এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক। লাল ড্রাগনের নতুন দুটি জাত এদেশে প্রচলিত লাল ড্রাগনের মত হলেও সাইজ, রং, আকার, চেহারা এবং স্বাদে ভিন্নতা আছে। এসব জাতও এদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ উপযোগী।’
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে এই আইসিস গোল্ড ড্রাগনকে সুপারফুড বিবেচনা করে ‘কুইন অব ড্রাগন’ নামে ডাকা হয়। প্রচলিত হলুদ ড্রাগন কিছুটা টক স্বাদযুক্ত, মিষ্টতা কম, বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক। কিন্তু আইসিস গোল্ড অনেক মিষ্টি, রসালু এবং সুগন্ধি স্বাদের। এই ফল প্রথমে গাঢ় সবুজ থেকে হলদেটে, এরপর সোনালী হয়ে পরিপক্কতা লাভ করে। সম্পূর্ণ না পাকলে মিষ্টতা কম হয়।
সিনিয়র এই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘গোল্ডেন আইসিস জাতটিকে আন্তর্জাতিকভাবে সেরা ড্রাগন ফ্রুট হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এটি মিষ্টি এবং সাইজে বড়। একই সাথে অনন্য সাইট্রাস স্বাদের অধিকারী। এর পুষ্টিগুণ অন্য সব ড্রাগনের তুলনায় অনেক বেশি। আইসিস ড্রাগনের গাছ ৩ বছরে পরিপূর্ণতা পেলে একটি ফলের ওজন এক কেজিরও বেশি হবে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলীতে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় বালু ভরাট করে সেখানে ফ্রুটস্ ভ্যালি এগ্রো গড়ে তোলেন সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন। শুরুর পর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষাবাদ করে ইতোমধ্যে চমক লাগিয়েছেন তিনি।
ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পে মোট ৭ জাতের ড্রাগন চাষ করা হচ্ছে। এরমধ্যে সম্পূর্ণ নতুন বিশ্বখ্যাত এই ৩ জাতের হলুদ ড্রাগন এই দেশের ড্রাগন চাষীদের মুখে হাসি ফুটাবে। এই জাত হবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক জাত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।