ধর্ম ডেস্ক : আমাদের দেশে ‘ঈদ মোবারক’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর প্রচলন আছে। কিন্তু সালামের আগেই ‘ঈদ মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা উচিত নয়। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো এই দোয়া পাঠ করা—‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ বলা। এর অর্থ, আল্লাহ আমাদের ও আপনার পক্ষ থেকে কবুল করুন।
ওয়াসিলা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ঈদের দিন সাক্ষাৎ করলাম। আমি বললাম, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা। মহানবী (সা.)ও বলেন, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা। (বায়হাকি : ৩/৪৪৬)
তা ছাড়া ঈদের দিন সালাম ও মুসাফাহা করা ইসলামী শিষ্টাচারের অনুষঙ্গ। সালামের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি করে দেন। মুসাফাহার দ্বারা গুনাহ মাফ হয়।
বারা ইবনে আজেব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, দুই মুসলমান যখন পরস্পর সাক্ষাতে মুসাফাহা করে তখন তাদের পৃথক হওয়ার আগে গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫২১৪; তিরমিজি, হাদিস : ২৭২৭)
দীর্ঘ সাক্ষাতের পর পরস্পরের ঘাড়ের সঙ্গে ঘাড় মেলানো এবং বুকের দিকে জড়িয়ে ধরাকে শরিয়তে মুয়ানাকা বলা হয়। এটা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত।
আয়েশা (রা.) বলেন, জায়েদ ইবনে হারিসা (রা.) যখন মদিনায় এলেন, তখন নবী করিম (সা.) আমার ঘরে ছিলেন। জায়েদ (রা.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমার ঘরে এলেন এবং দরজায় টোকা দিলেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজের কাপড় সামলাতে সামলাতে উঠে গেলেন। জায়েদের সঙ্গে কোলাকুলি করলেন এবং তাকে চুমু দিলেন। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৭৩২)
মুয়ানাকা করার সুন্নত পদ্ধতি হলো, একে অপরের ডান দিকের ঘাড়ের সঙ্গে ঘাড় মেলানো। বুকের সঙ্গে বুক মিলে গেলে কোনো সমস্যা নেই। তবে মুয়ানাকা শুধু একবার করতে হয়, তিনবার করার কথা হাদিস বা ফিকহের কোনো কিতাবে উল্লেখ নেই। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৯/৭৭)
মুয়ানাকা করার সময় এই দোয়া পড়া উচিত—‘আল্লাহুম্মা জিদ মুহাব্বাতি লিল্লাহি ওয়া রাসুলিহি।’ অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের মধ্যে আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পর ভালোবাসা বৃদ্ধি করে দিন। (জামেউস সুনান : ১৫৯)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।