Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ইসলামে মন্দ চরিত্রের কারণ ও প্রতিকার
ধর্ম ডেস্ক
ইসলাম ও জীবন

ইসলামে মন্দ চরিত্রের কারণ ও প্রতিকার

ধর্ম ডেস্কMynul Islam NadimDecember 4, 20255 Mins Read
Advertisement

ইবাদত-বন্দেগির মতো চারিত্রিক পরিশুদ্ধতা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। সচ্চরিত্রের মাধ্যমে বান্দা যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করে, তেমনি মন্দ স্বভাব ও চরিত্র বান্দার সঙ্গে আল্লাহর দূরত্ব সৃষ্টি করে।

মন্দ চরিত্র

এ জন্য আল্লাহ তাআলা চারিত্রিক পরিশুদ্ধিকে নববী মিশনের অংশ করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি সচ্চরিত্রকে পূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ২৭৩)।

মন্দ চরিত্রের কুফল

মন্দ চরিত্র মানুষকে আল্লাহ ও তার সৃষ্টির কাছে ঘৃণার পাত্র বানায়। মন্দ স্বভাব ও চরিত্র মানুষের নেক আমল ধ্বংস করে। ফলে পরকালেও তাদের পরিণতি হয় ভয়াবহ। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সর্বোত্তম তোমাদের মধ্যে সেই আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় এবং কিয়ামতের দিনও আমার খুবই কাছে থাকবে।

তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ঘৃণ্য সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিনও আমার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকবে। তারা হলো বাচাল, ধৃষ্ট-নির্লজ্জ এবং অহংকারে মত্ত ব্যক্তি।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০১৮)।

মন্দ চরিত্রের লক্ষণগুলো

কিছু আচরণের মাধ্যমে মানুষের মন্দ চরিত্র প্রকাশ পায়। নিম্নে তার কয়েকটি বর্ণনা করা হলো-

১. কঠোরতা : কোমলতা উত্তম চরিত্রের লক্ষণ এবং কঠোরতা মন্দ চরিত্রের নিদর্শন। রাসুলুল্লাহ (সা.) কোমল চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর দয়ায় তুমি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলে। যদি তুমি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হতে তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯)।

২. রুক্ষ চেহারা : চেহারার রুক্ষতা মন্দ স্বভাবের একটি নিদর্শন। সর্বদা মুখ রুক্ষ ও মলিন করে রাখা উত্তম স্বভাবের পরিপন্থী। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৯৫৬)।

৩. অনিয়ন্ত্রিত রাগ : অনিয়ন্ত্রিত রাগ মন্দ স্বভাবের একটি বহিঃপ্রকাশ। মুমিন তার রাগ ও ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রকৃত বীর সে নয়, যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়, বরং সেই আসল বীর, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১১৪)।

৪. অহংকার : অহংকার মন্দ স্বভাবের একটি লক্ষণ। কোরআন ও হাদিসে অহংকারের কঠোর শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দাম্ভিক ব্যক্তিদের কিয়ামতের দিন ক্ষুদ্র পিঁপড়ার মতো মানুষের রূপে সমবেত করা হবে। তাদের চারদিক থেকে অপমান ও লাঞ্ছনা ছেয়ে ফেলবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪৯২)।

৫. মন্দ ধারণা পোষণ : মানুষের প্রতি মন্দ ধারণা পোষণা করাও মন্দ স্বভাবের একটি বহিঃপ্রকাশ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)।

৬. নির্লজ্জতা : নির্লজ্জতা মানুষের মন্দ চরিত্রের প্রমাণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, পূর্ববর্তী নবীদের যে কথা মানুষ লাভ করেছে তা হলো, ‘যখন তোমার লজ্জা নেই তখন তুমি যা ইচ্ছা করতে পারো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৪৮৪)

চরিত্র মন্দ হওয়ার কারণ

আল্লাহ মানুষকে উত্তম স্বভাব ও চরিত্র দিয়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। অতঃপর নানা কারণে মানুষের স্বভাব-চরিত্র নষ্ট হয়। যার কয়েকটি হলো-

১. কুপ্রবৃত্তি : মানুষের ভেতরে থাকা কুপ্রবৃত্তি ও মন্দ প্রবণতা মানুষের চরিত্র ধ্বংসের অন্যতম কারণ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘শপথ মানুষের এবং তাঁর, যিনি তাকে সুঠাম করেছেন। অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও তার সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন।’ (সুরা : শামস, আয়াত : ৭-৮)।

২. মন্দ শিক্ষা ও প্রতিপালন : মন্দ শিক্ষাদীক্ষা ও প্রতিপালন মানুষের চরিত্র নষ্টের কারণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক নবজাতক ফিতরাতের (সত্য দ্বিন ও উত্তম চরিত্রের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার মাতা-পিতা তাকে ইহুদি বা খ্রিস্টান অথবা অগ্নি উপাসকে পরিণত করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৩৮৫)।

৩. অসৎ সঙ্গ : মন্দ পরিবেশ ও অসৎ সঙ্গের কারণে মানুষের স্বভাব-চরিত্র নষ্ট হয়। মহানবী (সা.) এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর রীতিনীতির অনুসারী হয়। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকেই যেন লক্ষ করে সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৮৩৩)।

৪. প্রকাশ্য পাপাচার : প্রকাশ্য পাপাচার মানুষের ভেতরে মন্দ স্বভাবের প্রবণতা তৈরি করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মন্দ কথার প্রচারণা আল্লাহ পছন্দ করেন না, তবে যার ওপর জুলুম করা হয়েছে সে ছাড়া। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৮)।

৫. অজ্ঞতা : দ্বিনি শিক্ষা থাকার কারণে মানুষ মন্দ কাজে লিপ্ত হয়। যেমন- আল্লাহ মানুষকে ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছেন এবং প্রবৃত্তিপূজারিদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। যেন মানুষ সৎ পথের অনুসরণ করে। কিন্তু ধর্মীয় জ্ঞান না থাকলে আল্লাহর এই আহবান সম্পর্কে অবগত হওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করতে চান, আর যারা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে তারা চায় যে তোমরা ভীষণভাবে পথচ্যুত হও।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৭)

মন্দ চরিত্রের প্রতিকার

কিছু কাজ ও আমলের মাধ্যমে মানুষ মন্দ চরিত্র থেকে মুক্ত হতে পারে এবং উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারে। যেমন-

১. পরিহারে সচেষ্ট হওয়া : মুমিন মন্দ চরিত্র পরিহার এবং সচ্চরিত্র অর্জনের চেষ্টা করবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আমার পথে চেষ্টা করবে আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৬৯)।

২. তাকওয়া অবলম্বন করা : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মানুষকে মন্দ চরিত্র পরিহারে সাহায্য করে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা করো, আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা! তোমরা আমাকে ভয় করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৯৭)।

৩. উত্তম সঙ্গী বেছে নেওয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) সৎসঙ্গের কল্যাণকর দিক তুলে ধরে বলেন, ‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ মিসক বিক্রেতা ও কর্মকারের হাপরের মতো। আতর বিক্রেতাদের থেকে শূন্য হাতে ফিরে আসবে না। হয় তুমি আতর ক্রয় করবে, না হয় তার সুঘ্রাণ পাবে। আর কর্মকারের হাপর হয় তোমার ঘর অথবা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে, না হয় তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২১০১)।

৪. তাওবা করা : অতীতের পাপ ও স্খলনের ব্যাপারে তাওবা করাও জরুরি। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তাওবা করো। তাহলে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হবে।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩১)।

৫. অজ্ঞতা পরিহার : ইসলাম মানুষকে অজ্ঞতা পরিহার করতে বলেছে, এমনকি তাদেরকে অজ্ঞ মানুষ থেকেও দূরে থাকতে বলেছে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন করো, সৎ কাজের নির্দেশ দাও এবং অজ্ঞদের এড়িয়ে চলো।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৯৯)।

৬. আল্লাহর কাছে দোয়া করা : মন্দ চরিত্র থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদেরকে মুত্তাকি হওয়ার শক্তি দান করেন।’ (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৭)।

আল্লাহ সবাইকে দ্বিনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

আলেমা হাবিবা আক্তার

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘ও ইসলাম ইসলামে কারণ চরিত্রের জীবন প্রতিকার মন্দ মন্দ চরিত্র
Related Posts
নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

December 25, 2025
সৃষ্টি

মানুষের কল্যাণের জন্যই আল্লাহর সবকিছু সৃষ্টি

December 25, 2025
নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

December 25, 2025
Latest News
নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

সৃষ্টি

মানুষের কল্যাণের জন্যই আল্লাহর সবকিছু সৃষ্টি

নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

পবিত্র শবে মেরাজ

পবিত্র শবে মেরাজ কবে, জানা গেল তারিখ

নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ক্ষমা

কোরআন ও হাদিসের আলোকে ক্ষমার গুরুত্ব

নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫

নামাজের সময়সূচি ২০২৫

নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.