জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার ডেমরা এলাকার একটি বস্তিতে বেড়ে ওঠা ইসমাইল আলীর ছোটবেলা কেটেছে দুঃখে-কষ্টে। এক পর্যায়ে পরিবারের ভাগ্য বদলের আশায় পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। তার বাবা মালয়েশিয়া যাওয়ার সকল ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। সেখানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন গত ২০ বছর। এ সময়কালে বাবাকে টাকাও পাঠাতেন। কিন্তু ১০ বছর আগে বাবা ও মায়ের মৃত্যুর পর আর দেশে ফেরেননি তিনি। এ দীর্ঘ জীবনে করেননি বিয়েও। এখন তার আকুতি একটি ভালো বৃদ্ধাশ্রমে থাকার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা জানিয়েছেন সম্প্রতি অসুস্থতা নিয়ে প্রবাস ফেরত শ্রমিক ইসমাইল আলী।
গত ৩১ জানুয়ারি অসুস্থতা নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন রেমিটেন্স যোদ্ধা ইসমাইল। হুইল চেয়ারের সঙ্গী হয়ে এখন তার স্থান হয়েছে আশকোনার ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে।
তিনি বলেন, গত রমজান মাসে স্ট্রোক করে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন। তারপর তার শরীরের একটি অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। কাজ হারিয়ে দীর্ঘদিনের উপার্জনের টাকায় চলে চিকিৎসা ও থাকা-খাওয়া। শুরুর দিকে অন্য প্রবাসীরা তাকে সাহায্য করলেও একসময় তারাও চলে যায়। পরে চিকিৎসা খরচ জোগাতে না পেরে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরতে বাড়িওয়ালা তাকে সাহায্য করেছেন। নিঃস্ব হাতে দেশে ফিরেছেন তিনি।
এখন তার ইচ্ছে একটি ভালো বৃদ্ধাশ্রমে থাকার। যারা তার চিকিৎসার পাশাপাশি একটু যত্ন করবেন। যাতে তিনি ভালো হয়ে আবার কাজ করে চলতে পারেন। আর ভালো না হলে সেখানেই তিনি থাকতে চান।
এ বিষয়ে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি রেমিট্যান্স যোদ্ধা ইসমাইল আলী অসুস্থ অবস্থায় দেশে ফেরেন। বিমানবন্দর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের নজরে পড়ে বিষয়টি। তাদের সহযোগিতায় আমরা অসুস্থ ইসমাইলকে আমাদের আশকোনা ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে রাখা হয়েছে। তার ইচ্ছামতো একটি বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।