জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির নির্বাচনের পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৫-২৭ মেয়াদের জন্য নতুন কমিটির নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে সদস্যরা আশাবাদি একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব গঠন হবে। ভোটাররা নির্বাচনে প্রশাসক না চাওয়ার কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারা সুস্থ পরিবেশে একটি কার্যকরী নেতৃত্ব চাচ্ছেন।
নির্বাচনের মাধ্যমে আইএসপিএবির নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা
আইএসপিএবির নির্বাচন নিয়ে সদস্যদের মধ্যে একটি উৎসাহ ও আগ্রহের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত এক সমাপনী অনুষ্ঠানে সদস্যরা ভোটাধিকারের গুরুত্ব ও তাদের প্রত্যাশাগুলি প্রকাশ করেছেন। ২৬৩ জন ভোটারের মধ্যে দুই শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন, যা সংগঠনের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের একটি শক্তিশালী প্রকাশ। প্যানেল লিডার মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বলেন, “আমরা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রশাসক চাই, আমরা চাই সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত একটি সংগঠন।”
এসময় বিভিন্ন সমস্যার কথা উঠে আসে, যাতে সদস্যদের অগ্রগতির পথে অবরোধ সৃষ্টি হচ্ছে। এই ধরণের সমস্য়াগুলি সমাধান করতে আগামী পদে যারা আসবেন তাদেরকে শক্তিশালী ও রাজধানী তথা দেশীয় উদ্যোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় তৎপর হতে হবে।
ইন্টারনেট খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা
আইএসপিএবির সাবেক সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, “নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কারণে সংগঠনের কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই, তিনটি কারণে আমাদের নির্বাচিত কমিটি প্রয়োজন: আমাদের সংগঠনের উন্নয়ন, ইন্টারনেট সেবা আরও উন্নত করা এবং দেশের সকল আইএসপি’র দাবি ও সুযোগ নিশ্চিত করা।”
এদিকে, সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আমিনুল হাকিম বলেন, “দেশে এক ধরনের প্যাকেজ প্রদান করা হলে বিটিআরসি তা সর্মথন করতে পারে। আমাদের উচিত একযোগে কাজ করা যাতে ব্যবসায়িক বিষয়ে শ্রম শিথিল করে মানসম্মত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সোচ্চার হতে পারি।”
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত আইএসপিএবি আজকের দিনেও দেশের নানান উদ্যোগ ও কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে। সৃজনশীল উদ্যোগ ও কার্যকর তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে তারা ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
সদস্যদের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ
এ নির্বাচনে সদস্যদের প্রত্যাশা বা দাবিগুলো ছিল:
- সারাদেশের ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধি
- সচেতনতা ও সহযোগিতা বাড়ানো
- আইপিএবির প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা
একাধিক সদস্য আলোচনা করেন রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রভাব ও তার কারণে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আমিনুল হাকিম জানান, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমাদের সব আয়োজনে সদস্যদের মতামত সবার চেয়ে গুরুত্বর।”
এছাড়াও, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়ন ও কর্মদক্ষতা নিশ্চিত করতে তাদের উদ্যোগ চলমান থাকবে।
আমরা আশা করি আইএসপিএবির নতুন নেতৃত্ব দেশের ইন্টারনেট খাতের সমস্যা সমাধানে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে এবং ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়তে সক্ষম হবে।
FAQs
১. আইএসপিএবির নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে?
আইএসপিএবির নির্বাচন আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
২. নির্বাচনে সদস্যদের কী ধরনের দাবী রয়েছে?
সদস্যরা সারাদেশে ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা কামনা করছেন।
৩. নির্বাচনে নেতৃত্বের বিষয়ে সদস্যদের প্রত্যাশা কী?
সদস্যরা একটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও কার্যকরী নেতৃত্বের আশা করছেন।
৪. আইএসপিএবি কি প্রতিষ্ঠার পর হতে পর্যালোচনা করেছে?
হ্যাঁ, আইএসপিএবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসূচির মাধ্যমে তারা তাদের কার্যক্রমের উন্নয়ন করছে।
৫. সদস্যরা কীভাবে নির্বাচনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন?
সদস্যরা তাদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, যা সংগঠনের গণতন্ত্রকে মজবুত করছে।
৬. আইএসপিএবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আইএসপিএবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হল সকল সদস্যের মুল্যবোধ উত্থাপনের মাধ্যমে সংগঠনকে আরো শক্তি সঞ্চার করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।