আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হামাসের হামলার পরপরই ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিশ্রুতি দেয় সামরিক সহায়তারও। এর মধ্যেই ইসরাইল সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। হামাসের বিরুদ্ধে মতগঠনে এরপর বিভিন্ন আরব দেশ সফর করছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ছয়টি আরব দেশ সফরের কথা রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। চার দেশ সফর শেষে শুক্রবার (১৩ অক্টোরব) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তিনি। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার সংঘাত যেন এই অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে ব্লিঙ্কেন সেই চেষ্টা করছেন বলে দাবি হোয়াইট হাউসের।
তবে বিবিসি বলছে, ব্লিঙ্কেন চান আরব রাষ্ট্রগুলো স্পষ্টভাবে হামাসের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাক।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রিয়াদে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা জারি করেছে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসরাইলি বাহিনী অরক্ষিত বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।
সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনা চলছিল সৌদি ও ইসরাইলের। তবে গাজায় সংঘাত শুরুর পর সেই আলোচনা আটকে গেছে।
এছাড়া চলতি বছরের শুরুতে পুনরায় ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে সৌদি আরবের। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর এই ইস্যুতে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
বিবিসিরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি-ইরানের মধ্যকার আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইতে পারেন ব্লিঙ্কেন। কারণ চলমান সংঘাতে তেহরানের জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে নিজ মিত্রদের সতর্ক থাকতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সৌদি আরবের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশরও সফর করবেন, যেখানে গাজার সীমান্ত রয়েছে। মিশরে তিনি মানবিক সাহায্যের জন্য করিডোর এবং গাজার অভ্যন্তরে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল স্থাপনের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।